ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় অডিও লেকচার শায়েখ আব্দুল্লাহ আল-মুনীর
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় অডিও লেকচার ডাউনলোড করুন। শায়েখ আব্দুল্লাহ আল-মুনীর এর
মানুষের ইন্দ্রিয় পাঁচটি। চোখ, কান, নাক, জিভ ও ত্বক। কিন্তু মানুষের আরেকটি ইন্দ্রিয়ও আছে, যাকে গবেষকেরা এতোদিন ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলে আসছেন। যা দেখা যায় না, ছোঁয়াও যায় না; শুধু অনুভব করা যায়। এর অবস্থান কোথায় এতদিন তাও ছিল অজানা। এবারে মানুষের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের অস্তিত্বের কথা জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, মানুষের মস্তিষ্কের একটি অঞ্চলে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের কার্যক্রম চিহ্নিত করতে পেরেছেন তাঁরা।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এ গবেষণার তথ্য। নেদারল্যান্ডসের ইউট্র্যাক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আটজন ব্যক্তিকে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন। গবেষণার সময় এতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তনশীল বিন্দুর অবস্থান বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছিল। এসময় গবেষকেরা তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এতে প্রত্যেকের মস্তিষ্কের একটি মানচিত্র পান তাঁরা। গবেষকেরা এর নাম দেন ‘টপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ’।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংখ্যার ধারণা বা পূর্বানুমানের বিষয়টি কাজ করেছে। গবেষকেদের দাবি, তাঁরা মস্তিষ্কের যে মানচিত্রটি পেয়েছেন সে অঞ্চলটিই মানুষের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বা অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি তৈরি করে।
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় অডিও লেকচার। ডাউনলোড করুন এখান থেকে।
ছোটবেলা থেকে সকলেই জেনে এসেছে মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের কথা। দর্শন, শ্রবণ, ঘ্রাণ, স্বাদ, স্পর্শ-এর বাইরে আর কী অনুভূতি থাকতে পারে মানুষের সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা জানাচ্ছে, এই চেনা ইন্দ্রিয়ের বাইরে রয়েছে এমন কিছু ইন্দ্রিয়-জগৎ, যার সন্ধান আমরা সেভাবে রাখিনা। এমনই এক অনুভূতি হল ‘প্রোপ্রায়েসেপশন’, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘নিজের উপরে দখলদারি’।
এই বিশেষ অনুভূতিটি মানুষকে তার দেহের আয়তন এ পরিমাপ সম্পর্কে সচেতন রাখে। যেকোনো সময়-পরিসরে দেহকে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। আর একটি অনুভূতি হল ‘থার্মোসেপশন’। এর দ্বারা মানুষ তার চারপাশের তাপমাত্রাকে টের পায়। এই অনুভবই মানুষকে তার দেহের তাপমাত্রাকে সমমাত্রিক রাখে। এর দ্বারাই আমরা বুঝতে পারি, কখন লেপমুড়ি দিতে হবে আর কখন ঠান্ডা ঘোলের সরবত খেতে হবে।
আর একটি ইন্দ্রিয়ানুভূতি ‘ইকুইলিব্রিওসেপশন’। এর কাজ দেহের ভারসাম্য বজায় রাখা। এর কৃপাতেই মানুষ হাঁটা বা দৌড়ানোর সময়ে পড়ে যায়না। এর বাইরেও রয়েছে ক্ষুধা-তৃষ্ণা, সময় এবং দিক-সংক্রান্ত অনুভূতি। ক্ষুধা-তৃষ্ণার অনুভূতি আমাদের দেহ কখন পুষ্টি চাইছে, তা ব্যক্ত করে এবং সেভাবে দেখলে, এই অনুভূতিগুলি পঞ্চেন্দ্রিয়ের হিসাবে পড়েনা।