শাহাদাত – ইসলামিক কবিতা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
শাহাদাত – ইসলামিক কবিতা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
শাহাদত এক অমূল্য দান
সম্মান তার আকাশ সমান
মৃত্যু নয় সে নতুন জীবন
প্রেমিকার সাথে মধুর মিলন।
যুদ্ধের দামামা যখন বাজে
হুরেরা আসে বধুর সাজে।
আসমান থেকে এক পলকে
তাকিয়ে থাকে সে স্বামীর দিকে
আল্লাহকে বলে রব দয়া করে
দ্বীনের উপর তাকে রেখো ধরে
বীরের বেশে সে এগিয়ে গেলে
খুশির পুলক আসে হুরের দেলে
ভয় পেয়ে যদি সে যায় পিছিয়ে
লজ্জায় হুর নেয় মুখ ফিরিয়ে
আর আঘাত পেয়ে শহিদ হলে
জান্নাতী হুর নামে মাটির তলে।
অভিমানে তার দুঠোট ফুলায়।
আজকেই হলো বুঝি তোমার সময়?
শরীরের ধুলোবালি দেয় সরিয়ে
জান্নাতী সজ্জায় নেয় সাজিয়ে।
স্বামীর প্রতি সে অতি মমতায়
কাফির লোকের তরে বদ দোয়া দেয়।
তোমার শরীরে যে আঘাত করে
তাকে যেনো মোর রবে ধ্বংস করে।
শেষে আদর করে সে বুকে ধরে।
তাকে নিয়ে যায় তার বাসর ঘরে।
মৃত্যুর কষ্ট সে একটু না পায়
শুধু পিপড়ার কামড়ে যতটুকু হয়
মহান রবে তার রাখবেন মান
ছয়টি পুরষ্কার করবেন দান।
রক্ত যখন ঝরে প্রথম দফায়
সব পাপ তার মাফ হয়ে যায়।
জান্নাতে সে কোন জাগায় রবে
আগেই তাকে তা দেখানো হবে
কবরের শাস্তি মাফ হবে তার
বিচারের কোনো ভয় থাকবে না আর
মাথার উপর সে যে মুকুট পরে
একটি হীরায় তার দুনিয়া হারে।
জান্নাতী হুর পাবে প্রচুর হারে
সংখ্যাটা শুরু হবে বাহাত্তরে
সুপারিশে বেঁচে আসে সত্তর জনা
ঠিকানা ছিল যার দোজোখ খানা।
মৃত্যুর পরে সে পাখির রুপে
ঘুরে ফিরে বেড়াবে ডানায় চেপে।
যেথা খুশি যায় আর যা খুশি খায়
আরশের নিচে এসে নেয় ফের ঠাঁই
আল্লাহ বলেন তাকে আর কি চাও
সে বলে প্রাণটা দেহতে ফেরাও।
এজীবনে আবারও দুনিয়াতে গিয়ে
জীহাদ করে আসি শহিদ হয়ে
শহিদী মৃত্যুতে কত সম্মান!
বারবার তাই আমি দিতে চায় প্রাণ।
এরপরে সেই রোজ হাশরে
বের হবে তারা সবে কবর ফেড়ে।
শহিদ উঠবে তার জখম দেহে।
জীবন দিয়েছি আমি রবের রাহে।
আর কোনো প্রশ্ন করা হবে না
সামনে কেউ তার বাধা দেবে না।
রবের তরে যে দিয়েছে জীবন।
হিসাবের তার আর নেই প্রয়োজন
রোজ হাশরের সেই ময়দানে গিয়ে।
সবার সময় কাটে ভীষণ ভয়ে
শহীদরা থাকবে একটি দলে
ঘোড়া নিয়ে ঘুরবে চিন্তা ভুলে।
তাদেরই একজন বলবে তখন
চলো না দেখে আসি বিচার কেমন?
সাহস দেখে তার মহান রবে
ভীষণ অবাক হয়ে হাসতে রবে।
যার তরে তিনি হাসেন সেদিন
ভাগ্য ভাল হবে আসবে সুদিন।
শহীদের মৃত্যুতে সম্মান বড়ো।
শাহাদত পেতে তাই জিহাদ করো।
শাহাদাত