রেসালাতের ভারার্পণ |কবিতায় নবীর কথা গ্রন্থের খন্ডিত অংশ| শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির
রেসালাতের ভারার্পণ |কবিতায় নবীর কথা গ্রন্থের খন্ডিত অংশ| শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির
পূর্বের কবিতা ’ওহী নাযিল হওয়া’ কবিতাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন…
রেসালাতের ভারার্পণ
এমন কথা যখন শোনে
সাহস হয় নবীর মনে
ওহী হবে এমন ভেবে
হীরা গুহায় গেলেন তবে
রমজানের বাকী রাতে
থাকেন ওহীর অপেক্ষাতে
ওহী তবে বন্ধ থাকে
দেখে না তো ফেরেশতাকে
ভাবে তবে সবই ফাঁকি
অকারণে ভুলই বকি
পাগল নাকি আমি নিজে
পাহাড় থেকে পড়বো নিচে
হঠাৎ আসে জিব্রাঈলে
শান্ত করেন রসুল বলে
সাওয়াল মাসের চাঁদটা দেখে
রসুল ফেরেন বাড়ির দিকে
হঠাৎ দেখেন মাথা তুলে
আকাশে এক আসন ঝোলে
হীরা গুহায় আসেন যিনি
সেথায় বসে আছেন তিনি
ভয় পেয়ে জোরে হেঁটে
নবী গিয়ে বাড়ি ওঠে
আমার গায়ে চাঁদর ফেলো
ঠান্ডা পানি গায়ে ঢালো
এমন সময় বার্তাবাহী
আবার নিয়ে এলেন ওহী
“ওহে চাদরে আবৃত
জাগ্রত হও দ্রুত
তারপর পাপে রত,
মানুষকে করো ভীত
এবং ঘোষণা করো,
আল্লাহ অনেক বড়
পোশাক রাখো পাক
নাপাকº দূরে থাক
যা কিছু করো দান
চেয়ো না প্রতিদান
সুমহান সেই রবের তরে
অটুট থাকো ধৈর্য ধরে”
এই ওহীতে বোঝা গেলো
নবীর দেখা সত্য ছিলো
পাগল নন আসল নবী
খুশি হলেন নবী খুবই
এই ঘটনা শাওয়াল মাসে
নবীর মনে খুশি আসে
তাই বুঝি ঐ দিনে
ঈদ মানে মুসলমানে
এমনিভাবে আল্লাহ পাকে
বাছাই করেন নবীজীকে
উম্মী’ আরব মুহাম্মদে
উন্নীত হন মহান পদে
নবী রসুল একই সাথে
সৃষ্টিকুলে আনবে পথে
শিক্ষা দেবেন হাদীস কুরান
ইবাদতের নিয়ম বিধান
দাওয়াত দেবেন দিন রাত
একেই বলে রেসালাত
রবের দেওয়া এই ভারাপণ
সারা জীবন করেন বহন
সকল রকম কষ্ট ভুলে
দায়িত্ব নেন কাঁধে তুলে
এই কারণে সর্বকালে
শ্রেষ্ঠ হলেন সৃষ্টি কুলে”
গোপনে দ্বীনের দা’ওয়াত
নবী হওয়ার প্রথম ভাগে
দাওয়াত দিলেন গোপনভাবে
গোপনে দ্বীনের দাওয়াত কবিতাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন….