মুখে নিজেকে কাফির বলা বা মৌখিক স্বীকৃতির মাধ্যমে নিজেকে কাফির হিসেবে পরিচয় দেওয়া – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
মুখে নিজেকে কাফির বলা বা মৌখিক স্বীকৃতির মাধ্যমে নিজেকে কাফির হিসেবে পরিচয় দেওয়া – #শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর# এর গবেষণা মূলক প্রবন্ধটি পড়া শেষ হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না
যদি কেউ তামাশার ছলে বা কোনো দুনিয়াবী ফায়দা হাসীলের উদ্দেশ্যে নিজেকে কাফির হিসেবে পরিচয় দেয় তবে সে কাফির হবে যদিও তার অন্তরে কুফরীর প্রতি বিশ্বাস না থাকে।
ইমাম নাব্বী রঃ বলেন, যদি কেউ রাগান্বিত হয়ে নিজের সন্তানকে বা চাকরকে ভীষণ মারধর করে আর অন্য একজন বলে, তুমি কি মুসলিম নও? আর সে বলে না। তবে সে কাফির হবে। (রাওদাতুত্ তালেবীন)
ইবনে হাযার হাইতামী রঃ বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে গালি দিয়ে বলে, হে কাফির হে ইয়াহুদী আর তার স্ত্রী বলে হ্যাঁ আমি তাই তবে উক্ত স্ত্রী কাফির হবে। (আল-ই’লাম)
বাহরুর রায়েকে বলা হয়েছে, যদি কেউ কাউকে হে ইয়াহুদী বা হে মাজুসী (অগ্নিপূজক) বলে আহ্বান করে আর সে সাড়া দেয় তবে এই ব্যক্তি কাফির হবে। একইভাবে যদি কেউ বলে আমি ধর্মদ্রোহী তবে সে কাফির হবে কারণ ধর্মদ্রোহী তো কাফির।
কেউ ইয়াহুদী বা কাফির বলে ডাকলে তার উত্তরে সাড়া দেওয়ার ব্যাপারে ইমাম নাব্বী রঃ বলেন, এটা ব্যাখ্যা হলো যাদি সে, কাফির পরিচয়ের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে সাড়া দেয় তবে কাফির হবে আর যদি কেবল কারো ডাকে সাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে বা কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই সাড়া দেয় তবে তা কুফরী হবে না। (আল-ই’লাম)
মোট কথা, কোনোভাবে নিজেকে কাফির হিসেবে ঘোষণা করা বা অন্য কেউ কুফরী পরিচয়ে পরিচিত করলে সেটা মেনে নেওয়া কুফরী হিসেবে গণ্য হবে। এ বিষয়ে আলেমরা অত্যাধিক কঠোরতা করেছেন।
তারা বলেছেন, যদি কেউ বলে, অমুক কাফির আর সে আমার চেয়ে বেশি কাফির তবে সে কাফির হবে কারণ সে নিজের কুফরীর স্বীকৃতি দিয়েছে। (আল ইলাম বি কাওয়াতিইল ইসলাম)
বর্তমানে মুসলিম নামধারী বিভিন্ন রাষ্ট্রে অনেক সময় সংখ্যালঘু অমুসলিমদের জন্য বিশেষ সুবিধা সংরক্ষিত থাকে যদি কেউ উক্ত সুবিধা ভোগ করার জন্য নিজেকে অমুসলিম পরিচয় দেয় তবে সে কাফির হবে। অমুসলিম রাষ্ট্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজেকে অমুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়ার বিধানও একই। মোট কথা যে কোনোভাবে নিজেকে কাফির হিসেবে পরিচয় দেওয়া কুফরী হবে যদিও অন্তরে কুফরীর প্রতি প্রকৃত অর্থে বিশ্বাস না থাকে। তবে বাধ্য হয়ে এমন করা হলে তা স্বতন্ত্র। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা হবে ইনশা-আল্লাহ।
মুখে নিজেকে কাফির বলা বা মৌখিক স্বীকৃতির মাধ্যমে নিজেকে কাফির হিসেবে পরিচয় দেওয়া – #শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর# এর গবেষণা মূলক প্রবন্ধটি পড়ুন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।