প্রখর মস্তিষ্ক ও নিরপেক্ষ বিচার বুদ্ধি – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনী
নিরপেক্ষ বিচার বুদ্ধি ও প্রখর মস্তিষ্ক – কোরআন হাদীস সঠিকভাবে বুঝতে হলে যেসব যোগ্যতা অর্জন করা পূর্বশর্ত – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
আলী রাঃ কে প্রশ্ন করা হলো আপনার নিকট কি অন্য কোনো বই আছে? তিনি বললেন, না। শুধু আল্লাহর কিতাব এবং একজন মুসলিমকে যে বোধ শক্তি দেওয়া হয় তা ছাড়া আমার নিকট অন্য কিছু নেই। (সহীহ বুখারী)
কোনো সন্দেহ নেই যে, আল্লাহর কিতাব ও রসুলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস নিয়ে যিনি গবেষণা করবেন তাকে প্রখর মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে। একইসাথে তাকে নিরপেক্ষ বিচারবুদ্ধির অধিকারী হতে হবে। কারণ, আমরা পূর্বেই দেখেছি যে কোরআনের আয়াত সমূহ বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। কোনোটি রুপক অর্থে, কোনোটি প্রকৃত অর্থে, কোনোটি আম, কোনোটি খাছ। যদি কারো মস্তিষ্ক পূর্ব হতেই কোনো একটি মতদর্শ বা আকীদা বিশ্বাসে আকৃষ্ট বা প্রভাবিত হয়ে যায় তবে সে তার মত অনুসারেই কোরআন হাদীসের ব্যাখ্যা দিতে থাকে। নিজের ইচ্ছামত এভাবে হাকীকত মাযাজ ও আম খাছের বিষয়টি যত্র তত্র ব্যাবহারের মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলে। রসুলুল্লাহ সাঃ এর ওফাতের পর হতে এ পর্যন্ত যতো বাতিল ফিরকা উদ্ভব হয়েছে তারা এভাবেই পথভ্রষ্ট হয়েছে। একারণে কোরআন-হাদীস সঠিকভাবে অনুধাবন করতে হলে প্রখর মস্তিষ্ক ও নিরপেক্ষ বিচার বুদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।
নিরপেক্ষ বিচার বুদ্ধি