চার মাযহাবের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
চার মাযহাবের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর এর মাজহাব বনাম আহলে হাদীস গ্রন্থ হতে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে
মাযহাব অর্থ পথ বা মত। মর্তমানে আমরা মাযহাব বলতে ফুকাহায়ে কিরামের চারটি পথ ও পদ্ধতিকে বুঝে থাকি। হানাফী মাযহাব, মালেকী মাযহাব, শাফেঈ মাযহাব ও হাম্বলী মাযহাব। চারজন মহান ইমামের নামের সাথে মিল রেখে চার মাযহাবের নাম করণ করা হয়েছে যাদের প্রত্যেকে আমাদের নিকট সূপরিচিত। এই সকল মহান ইমামদের যুগ অতিবাহিত হওয়ার পর হতে যত আলেম-ওলামা, মুহাদ্দিস-মুফাসসির জন্ম নিয়েছেন তাদের সবাইকে কোনো না কোনো মাযহাবের দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে। যেমন বলা হয় আবু বকর আল-জাসসাস আল-হানাফী, ইমাম নাব্বী আশ-শাফেঈ, ইবনে কুদামা আল-হাম্বালী, ইবনে আরবী আল মালিকী ইত্যাদি। পূর্ববর্তী ওলামায়ে কিরামের মধ্যে কেউ এই ধরণের পরিচয়কে অপছন্দ করেননি। শুধু তাই নয় বরং অল্প কিছু আলেম ছাড়া অন্য সবায় নিজেদের কোনো না কোনো মাযহাবের সাথে সম্পৃক্ত করতেন।
শাহ্ ওলীউল্লাহ দেহলাবী রঃ বলেন,
বর্তমান সময় পর্যন্ত উম্মতের আলেমরা সকলে বা তাদের মধ্যে যাদের মতামত প্রহণযোগ্য তারা একমত যে এই চারটি মাযহাব যা কিতাবে লিখিত রয়েছে এগুলোর মধ্য হতে যে কোনো একটির অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে যা উপকারীতা আছে তা গুনে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যখন মানুষের ইজতিহাদ করার শক্তি কমে এসেছে এবং নিজের খেয়াল খুশির অনুসরণ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেকে তার মতকে সঠিক মনে করছে। (আল ইনসাফ)
সুতরাং চার মাযহাবের যে কোনো একটিকে অনুসরণ করা এবং এগুলোর সাথে নিজেকে সম্পর্কিত মনে করা ইত্যাদি বৈধ হওয়ার ব্যাপারে ওলামায়ে কিরামের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু বর্তমানে কিছু লোক এ ধরণের পরিচয়কে অপছন্দ করছে তাদের কেউ কেউ মাযহাবী পরিচয়কে হারাম এমনকি শিরক কুফর পর্যন্ত বলছে। তারা এবিষয়ে বিভিন্ন আপত্তি অভিযোগ উপস্থাপণ করে থাকে। আমরা তাদের আপত্তি অভিযোগসমূহ উল্লেখপূর্বক সেগুলোর খন্ডায়ণ করবো ইনশাআল্লাহ।
(ক) কোনো মাযহাবের অনুসরণ করা অর্থ কোরআন হাদীসের পরিবর্তে উক্ত মাযহাবের ইমামকে অন্ধঅনুসরণ করা
(খ) একাধিক মত ও পথ কেনো থাকবে?
(গ) হানাফী, শাফেঈ ইত্যাদি নামে পরিচয় দেওয়া
মাযহাবের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া