সাধারন মীলাদ অনুষ্ঠান – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির – বিদয়াতে দ্বালালা গ্রন্থের খন্ড অংশ

সাধারন মীলাদ অনুষ্ঠান – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির

আমাদের দেশে এবং উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি রেওয়াজ প্রচলিত আছে। কোনো সুখের বা শোকের ঘটনা ঘটলে কিছু নেককার ব্যক্তিকে দা’ওয়াত করা হয়। সকলে একত্রিত হয়ে দোয়া-দরুদ পাঠ করে দ্বীনী আলোচনা করে, যিকির-আযকার করে ইত্যাদি। সব শেষে আয়োজক উপস্থিত সবাইকে নিজের সাধ্য অনুযায়ী কিছু খাবার খাওয়ায় এবাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এধরণের অনুষ্ঠানকে মীলাদ মাহফিল বলা হয়। বর্তমানে কেউ কেউ এটাকে দোয়ার মাহফিলও বলে থাকেন। এক সময় এধরণের দোয়ার অনুষ্ঠানে বহু নিষিদ্ধ কর্মের প্রচলন ছিল যেমন, দরুদ পাঠ করার সময় রাসুলুল্লাহ সাঃ হাজির হয়ে যান এমন মনে করে মানুষ দাড়িয়ে যেতো, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ব্যাপারে অতিরঞ্জন করে উর্দু ও ফার্সী কবিতা পাঠ করা হতো ইত্যাদি। আল্লাহর ইচ্ছায় বর্তমানে বেশিরভাগ এলাকায় এসব অপ্রীতিকর বিষয়ের অবসান ঘটেছে। এখন মানুষ সম্পূর্ণ বৈধ পন্থায় এধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে আদায় করা হয় তা নয়। কোথাও রাসুলের জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করা হয় এবং শেষে দোয়া হয়, কোথাও কেবল দরুদ পাঠ করার পর মোনাজাত করা হয়, আবার কোথাও কিছু না করে কেবল দোয়া করে দেওয়া হয়। যখন মীলাদের মধ্যে নিষিদ্ধ কর্মকান্ডের প্রচলন ছিল তখন আলেমরা ঐ সকল কর্মের নিন্দা করেছেন। তারা মূল বিষয়টির নিন্দা করতেন না বরং এর মধ্যে যেসব নিষিদ্ধ কর্ম-কান্ড রয়েছে সেগুলোর নিন্দা করতেন। তাদের প্রচার-প্রসারের কারণে মানুষ এখন নিষিদ্ধ কর্ম-কান্ডগুলো পরিত্যাগ করেছে। কিন্তু এখন কিছু লোক মীলাদ নামক বিষয়টিকে গোড়া শুদ্ধ উপড়ে ফেলার জন্য হৈ চৈ শুরু করেছে। তাদের কথা হলো এই ভাবে একত্রিত হয়ে দোয়া-দরুদ পাঠ করা এবং শেষে তবারোক গ্রহণ করার পদ্ধতি স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ বা তার সাহাবায়ে কিরাম চালু করেন নি তাই এটা বিদয়াত। এই যু্ক্তিটি পূর্বে খন্ডায়ন করা হয়েছে। আমরা বলেছি কেবল রাসুলুল্লাহ সাঃ করেন নি বা সাহাবায়ে কিরাম করেন নি এই যুক্তিতে কোনো কিছু নিষিদ্ধ প্রমাণিত হবে না বরং দেখতে হবে তাতে কোনো নিষিদ্ধ কাজ করা হয় কিনা। এই মূলনীতিতে বিচার করলে বর্তমানে যে মীলাদ মাহফিল প্রচলিত আছে সেগুলো বৈধ প্রমাণিত হয়। যেহেতু তার মধ্যে নিষিদ্ধ কিছু নেই। আর যদি দেখা যায় কোনো এলাকাতে প্রচলিত মীলাদের মধ্যে নিষিদ্ধ কর্ম-কান্ড রয়েছে তবে উক্ত নিষিদ্ধ কর্ম-কানন্ডের নিন্দা করতে হবে মীলাদকে গোড়া শুদ্ধ উপড়ে ফেলার প্রয়োজন নেই। মীলাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে বর্তমানে সমালোচনার ঝড় উঠেছে আমরা নিচে সেসব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরছি।

ক. মীলাদে অনেক সময় “বালাগাল উলা বিকামালিহি…..” পাঠ করা হয়। প্রবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন…..

খ. প্রকাশের অপেক্ষায়

সাধারন মীলাদ অনুষ্ঠান সাধারন মীলাদ অনুষ্ঠান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *