কুফরীর প্রতি শৃদ্ধাশীল হওয়ার বিধান – #শায়েখ আব্দুল্লাহ আল-মূনীল#
কুফরীর প্রতি শৃদ্ধাশীল হওয়ার বিধান – বা কুফরী কাজের প্রতি শ্রদ্ধশীল হওয়া কুফরী – #শায়েখ আব্দুল্লাহ আল-মূনীর# এর গবেষণা মূলক পোষ্ঠটি পড়ুন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।
ইবনে আবেদীন রঃ বলেন, যদি কুফরীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করাই কুফরী হয় তবে কুফরীকে সম্মান করার অবস্থা কি হতে পারে। (রদ্দুল মুহতার)
হানাফী মাযহাবের বিভিন্ন ফিকহ্ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি পঞ্চাশ বছর আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকে কিন্তু নওরোজের (মাজুসীদের ধর্মীয় উৎসব) দিন একজন মুশরিককে একটি ডিমও উপহার দেয় যদি তার উদ্দেশ্য হয় উক্ত দিনকে সম্মান করা তবে সে কাফির হয়ে যাবে এবং তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহ্তার, বাহরুর রায়েক ও অন্যান্য)
এ বিষয়টি বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। একজন মুসলিম নিশ্চিত বিশ্বাস করে যে, ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম এবং অন্য সকল ধর্ম নিশ্চিতভাবে ভ্রান্ত ও বাতিল। ইসলাম হচ্ছে দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির একমাত্র পথ আর সকল ধর্ম ও মতবাদ জাহেলী যুগের অন্ধারময় ভয়ংকর মৃত্যুকুপ। মুসলিমরা এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, শিরক-কুফর সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট পাপাচার ও মারাত্মক অপরাধ। একজন চোর, মদ্যপ, ব্যাভিচারী মুসলিম একজন ভদ্র, অমায়িক, মার্জিত স্বভাবের অমুসলিম অপেক্ষা আল্লার দরবারে অধিক সম্মানিত। এধরণের আক্বীদা বিশ্বাসের কারণে মুসলিমরা শিরক-কুফর এবং তার ধারক-বাহকদের সর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণে ঘৃণা করে থাকে। এটাই ঈমানের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ তোমাদের নিকট ঈমানকে প্রিয় করে দিয়েছেন এবং তোমাদের অন্তরে তা সাজিয়ে দিয়েছেন আর তোমাদের নিকট অপছন্দনীয় করে দিয়েছেন কুফর ফিসক ও পাপ কাজকে। এরাই সঠিক পথ প্রাপ্ত। (সুরা হুজরাত-৭)
তিনি আরো বলেন, তোমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ রয়েছে ইব্রাহীম ও তার সঙ্গীদের মাঝে যখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেছিল আমরা তোমাদের থেকে এবং তোমরা যা কিছুর উপাসনা করো তা হতে বিচ্ছিন্ন আমরা তোমাদের মানি না। তোমাদের সাথে আমাদের শত্রুতা ও ঘৃণা-বিদ্বেষ শুরু হয়ে গেল তোমরা এক আল্লাহ্ তে বিশ্বাসী না হওয়া পর্য্ন্ত। (সুরা মুমতাহিনা-৪)
এই স্বয়ংক্রিয় ও সর্ব স্বীকৃত বিশ্বাসের বিপরীতে বর্তমানে কিছু নামধারী ইসলামী চিন্তাবিদ সাধারন মুসলিমদের অন্য ধর্মের অনুসারী ও তাদের আক্বীদা-বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার দীক্ষা দিচ্ছেন। তারা বলেন, বিধর্মীদের সামনে তাদের ধর্মের সমালোচনা করো না। তোমার ধর্মের সমালোচনা করা হলে তুমি যেমন কষ্ট পাও তাদের ধর্মের সমালোচনা করা হলে তারাও কষ্ট পায়। তুমি যেমন পছন্দ করো তোমার ধর্মের প্রতি অন্যেরা শ্রদ্ধাশীল হোক তেমনি তোমারও অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ।
তারা নিজেদের মতামতের স্বপক্ষে কিছু আয়াতকে ভুলভাবে উপস্থাপণ করে থাকে। যেমন, আল্লাহর বাণী, এবং তোমরা মন্দ বলো না তারা যাদের উপাসনা করে ঐসব উপাস্যদের। কারন তাহলে তাহারাও শত্রুতা ও অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে মন্দ বললে। ( সুরা আনআম-১০৮)
তারা বলতে চায়, এই আয়াতে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুসলিমদের স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে যে, তারা অন্য ধর্মকে কোনোভাবে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত করবে না। যেহেতু সেক্ষেত্রে কাফিররাও ইসলামের সমালোচনা করবে।
সেই সাথে আরো একটি আয়াত পেশ করা হয়। তা হলো,
হে নবী, আপনি বলুন, তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আর আমার জন্য আমার ধর্ম। (সূরা কাফেরুন-৬)
তারা এ আয়াতের অর্থ করে থাকেন এমন, “তোমরা স্বাধীনভাবে তোমাদের দ্বীন মেনে চলো আর আমি স্বাধীনভাবে আমার দ্বীন মেনে চলবো। আমাদের মাঝে কোনো বিরোধ বা বিবাদ থাকবে না।
এই দুটি আয়াতের এমন অর্থ করে তারা চরমভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে। যদি কাফিরদের ধর্মকে মেনেই নেওয়া হবে, তাদের শিরকী আক্বীদা-বিশ্বাস সমূহের নিন্দা-মন্দ ও সমালোচনা করা যদি নিষেধই হয় তবে নবী-রাসুলরা কেন আগমন করেছিলেন! তারা কি কেবল এতটুকু বলতে এসেছিলেন যে, “যে ব্যক্তি কাফির অবস্থায় আছে সে ওভাবেই থাক এটা কোনো সমস্যার বিষয় নয়।”? প্রশ্ন হলো, শুধু এতটুকু বলার জন্য নবী-রাসুল আগমন করা এবং কাফিরদের সাথে জীবন-মরন সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কি আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল?
এ বিষয়টির উদাহরণ হলো, ঐ বির্বোধের মতো যার উট হারিয়ে গিয়েছিল। সে দিন-রাত সারা এলাকা ঘোষণা করে বেড়াচ্ছিল “আমার একটি উট হারিয়ে গেছে। উটটি যে পাবে তাকেই দান করে দেওয়া হবে।” তার এই ঘোষণা শুনে একজন বৃদ্ধ ধমক দিয়ে বলল, উট যে পাবে যদি তাকেই দিয়ে দেওয়া হয় তবে তোমরা এতো হৈ-চৈ করে মানুষের ঘুম নষ্ট করার কি দরকার?
যার যা বিশ্বাস যদি তার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয় তবে সে জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ করে সুদীর্ঘকাল সংগ্রাম-সংঘর্ষের কি পয়োজন ছিল? এই সহজ প্রশ্নটি এইসব অবচেতন মস্তিষ্কের চিন্তাবিদদের মাথায় ঢোকে না।
সত্য কথা হলো রাসুলরা আগমন করেছিলেন, কুফরী ধর্ম বিশ্বাস পৃথিবী হতে চিরতরে নিঃচিহ্ন করার জন্য। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,
আমিই বিনাশকারী আল্লাহ আমার মাধ্যমে কুফরীকে বিনাশ করবেন ( সহীহ বুখারী)
আমর ইবনে আবাসা রাঃ রসুলুল্লাহ সাঃ কে প্রশ্ন করলেন আল্লাহ আপনাকে কি উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছেন? রসুলুল্লাহ সাঃ বললেন, যাতে লা শরীক এক আল্লাহর ইবাদত করা হয়, মুর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা হয়। (সহীহ মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমাকে পাঠানো হয়েছে সকল মূর্তি ও অন্য সকল ধর্মকে ধ্বংস করার জন্য। আমর ইবনে আবাসা রাঃ এটা শুনে বললেন, “আল্লাহ আপনাকে কত উত্তম দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।” (মুস্তাদরাকে হাকীম)
আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট করে বলেন, কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করো যতক্ষণ না সকল প্রকার ফিতনা (শিরক-কুফর) শেষ হয়ে যায় এবং দ্বীন কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। (সূরা আনফাল-৩৯)
বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে এই আয়াতে ফিতনা অর্থ শিরক-কুফর বলা হয়েছে। অর্থাৎ শিরক-কুফর নিঃশেষ হয়ে কেবল মাত্র আল্লাহর দ্বিন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্য্ন্ত কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা পুনরাবৃত্তি করে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,
আমাকে আদেশ করা হয়েছে মানুষের সাথে যুদ্ধ করার জন্য যতক্ষন না তারা সাক্ষ দেয় আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই আর আমার উপর ও আমি যা কিছু নিয়ে এসেছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। এই নির্দেশের আলোকে রাসুলুল্লাহ সাঃ সুযোগ পাওয়া মাত্র সকল মূর্তি ধ্বংস করতে শুরু করেন। মক্কা বিজয়ের পরই পবিত্র কা’বা শরীফে তিনশ ষাটটি মূর্তি তিনি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন। এ বিষয়ে সহীহ্ বুখারীতে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। অনেকে এখানে ওযর পেশ করে বলেন, মূর্তি গুলো কা’বা শরীফের মধ্যে ছিল তাই কা’বাকে পবিত্র করার স্বার্থেই সেগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছিল। অর্থাৎ কা’বাকে পবিত্র করার বাধ্য-বাধকতা না থাকলে রাসুলুল্লাহ সাঃ সেগুলোর সাথে এহেন আচরণ করতেন না। প্রশ্ন হলো, কা’বাকে পবিত্র করাই যদি একমাত্র উদ্দেশ্য হবে তাহলে মূর্তিপূজারীদের নির্দেশ দিলেই তো তারা পরম শ্রদ্ধাভরে সেগুলো সরিয়ে নিতে পারতো। সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার প্রয়োজন ছিল না। তাছাড়া পবিত্র কা’বা শরীফের মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলার পরেই রাসুলুল্লাহ সাঃ বিভিন্ন এলাকাতে লোক প্রেরণ করেন যারা ঐ সকল এলাকার মন্দিরসমূহে প্রবেশ করে সেখানকার সকল মূর্তি ধ্বংস করেন। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ, আমর ইবনে আস, মুগীরা ইবনে শো’বা ইত্যাদি বিভিন্ন সাহাবাকে বিভিন্ন এলাকায় এ উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়।
সাহাবায়ে কিরাম নিজ উদ্দোগেও বহু সংখ্যক মূর্তি নিধন করেছেন বলে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। সেসব ঘটনা এখানে সুবিস্তারে বর্ণনা করা সম্ভব নয় তবে তার মধ্যে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা এখানে উল্লেখ করছি যাতে মূর্তি-প্রেমিক চিন্তাবিদদের কিছু সুচিন্তা জাগ্রত হয়।
১। হযরত আবু দারদা রাঃ ও আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রাঃ জাহেলী যুগে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রাঃ আবু দারদা এর পুর্বেই ইসলাম কবুল করেছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রাঃ প্রায়ই তাকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন কিন্তু তিনি তার ডাকে সাড়া দিতেন না। তার একটি মুর্তি ছিল তিনি সেটির উপাসনা করতেন। একদিন আবু দারদা রাঃ এর অনুপস্থিতিতে আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রাঃ তার মুর্তির ঘরে প্রবেশ করে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে মুর্তিটি ভাঙতে লাগলেন। আবু দারদা এর স্ত্রী কুড়ালের শব্দ শুনে ছুটে এসে বললেন, ওহে আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রাঃ তুমি তো আমাকে ধংস করে ফেললে , মুর্তি ভাঙ্গার কাজ সমাপ্ত করে আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহা রাঃ প্রস্থান করলেন। আবুদারদা রাঃ ফিরে এসে তার স্ত্রীকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখলেন সব কিছু শুনে এবং নিজ চোখে দেখে তিনি ভীষন রেগে গেলেন পরক্ষনেই চিন্তা করলেন যদি সত্যিই এর কোন ক্ষমতা থাকত তবে নিজেকে নিশ্চয় রক্ষা করতে পারত। ফলে তিনি মুসলিম হয়ে গেলেন। (মুস্তাদরাকে হাকিম)
২। মদিনাতে যখন ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল এবং যুবকদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণের জোয়ার পড়ে গিয়েছিল সে সময়ও যেসব প্রবীন ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ইসলাম থেকে দূরে থেকে গিয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছিলেন আমর ইবনে আলজামুহ। তার একটি কাঠের মূর্তি ছিল। তিনি সেটিকে পবিত্র জ্ঞান করতেন এবং সম্মান করতেন। সেটিতে সুগন্ধি মাখাতেন, এবং তার উপাসনা করতেন। তার ছেলে মুআজ এবং অন্যান্য মুসলিম যুবকেরা প্রতি রাতে মূর্তিটিকে চুরি করে নিয়ে যেতেন এবং এমন আবর্জনাময় গর্তে নিক্ষেপ করতেন যে মূর্তিটিকে না পেয়ে ভীষন রেগে যেতেন। এদিক সেদিক খোজ করে যখন আবর্জনাময় গর্তে সেটিকে উল্টো হয়ে পড়ে থাকতে দেখতেন তখন তার মনের অবস্থা কি হত তা আশা করি মুর্তির প্রতি মমতাশীল পন্ডিতবর্গ টের পাবেন। মুর্তিটিকে ওভাবে আবিস্কার করে তিনি বলতেন, যদি আমি জানতাম কে তোমার সাথে এমন আচরণ করেছে তবে আমি তাকে পুড়িয়ে মারতাম।
এরপর তিনি মূর্তিটিকে আবার পবিত্র করতেন সুগন্ধি মাখাতেন এবং তার জন্য নির্ধারিত স্থানে রেখে দিতেন। এ ঘটনা প্রায়ই ঘটতে থাকায় শেষে বিরক্ত হয়ে মুর্তিটির গলায় একটি তরবারী ঝুলিয়ে দিয়ে বললেন, যদি তোমার মধ্যে কোন কল্যাণ থাকে তবে নিজেকে নিজে রক্ষা করো।
সেদিনও পুর্বের মত মূর্তিটি চুরি করা হল। মূর্তিটির গলা হতে তরবারীটি কেড়ে নিয়ে একটি মৃত কুকুর ঝুলিয়ে দেওয়া হল। তাপর সেটিকে গর্তে নিক্ষেপ করা হল। পরদিন সকালে মূর্তিটিকে মৃত কুকুরের সাথে গলাগলি করে পড়ে থাকতে দেখে আমরের হুশ ফিরল। তিনি বললেন, যদি তুমি সত্যিই ইলাহ হতে তবে নিশ্চয় একটি কুকুরের সাথে গলা জড়িয়ে কুপের মধ্যে পড়ে থাকতে না। (বায়হাকী দালাইলুন নুবুওয়া, সীরাতে ইবনে হিশাম)
এ ঘটনার পর তিনি মুসলিম হয়ে যান।
এই ঘটনা প্রমান করে মূর্তির প্রতি মমতা দেখিয়ে নয় বরং সেগুলোর প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করলেই একজন মুর্তি পূজারী বুঝতে সক্ষম হবে, আসলে ওগুলোর কোনো ক্ষমতা নেই।
৩। হিজরতের পর হযরত আলী রাঃ দেখলেন একজন মুসলিম মেয়ের বাড়িতে রাত্রে একজন পুরুষ আগমন করে তার দরজাতে টোকা দেয়। মেয়েটি দরজা খুললে তার হাতে কিছু একটা দিয়ে ছেলেটি বিদায় হয়ে যায়। হযরত আলী রাঃ মেয়েটিকে প্রশ্ন করলে সে বলে, “ঐ ব্যক্তি হলেন সাহল ইবনে হুনাইফ তিনি তার নিজ সম্প্রদায়ের মুর্তিগুলো ভেঙ্গে আমাকে দিয়ে যান আমি তা দ্বারা উনুন জ্বালাই।” (সীরাতে ইবনে হিশাম, উয়ূনুল আছার, ইবনে কাছীরের সীরাত গ্রন্থ)
এত কিছুর পরও কিভাবে দাবী করা সম্ভব যে, ইসলামে শিরক-কুফরকে শ্রদ্ধা-সম্মান করা বা শিরক কুফরের প্রতি সহনশীল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে! এর পরবর্তি পোষ্টে উপরোক্ত আয়াতদুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু কথা বলবো ইনশা-আল্লাহ।
কুফরীর প্রতি শৃদ্ধাশীল হওয়ার বিধান – বা কুফরী কাজের প্রতি শ্রদ্ধশীল হওয়া কুফরী – #শায়েখ আব্দুল্লাহ আল-মূনীর# এর গবেষণা মূলক পোষ্ঠটি পড়া শেষ হলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ট্যাগ: কুফরীর প্রতি শৃদ্ধাশীল হওয়ার বিধান কুফরীর প্রতি শৃদ্ধাশীল হওয়ার বিধান