ওহী নাযিল হওয়া | কবিতায় নবীর কথা গ্রন্থের খন্ডিত অংশ | শায়েখ আব্দুল্লা আল মুনির
ওহী নাযিল হওয়া | কবিতায় নবীর কথা গ্রন্থের খন্ডিত অংশ | শায়েখ আব্দুল্লা আল মুনির
ওহী নাযিল হওয়ার পূর্বের কবিতা ওহী নাযিলের পটভুমি কবিতাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন….
ওহী নাযিল হওয়া
বয়স যখন চল্লিশে
রবের স্মরণ মনে ভাসে
হীরা গুহায় থাকেন একা
সেথায় পেলেন ওহীর দেখা
রমজানের কদর রাতে
সম্ভবত শেষ দশকে
হঠাৎ আসে জীব্রাঈলে
শুরু করে পড়ুন .. বলে
বিস্ময়ে বলেন তিনি
পড়তে আমি নাহি জানি
ভীষণ চেপে ধরেন তাকে
যেনো নবী নীরব থাকে
জবাব দিলেন যতবারে
আরও বেশি চেপে ধরে
শেষে নবী নীরব হলে
রবের কথা তাকে বলে,
“পড়ুন আপন রবের নামে
স্রষ্টা যিনি বিশ্বধামে
জমাট বাঁধা মাংস থেকে
সৃষ্টি করেন মানুষটাকে
হে নবী, আপনি পড়ুন
আপন রব মহান জানুন
কলম দিয়ে শেখান যিনি
মানুষ কভু যা শেখেনি।”
এই হলো প্রথম ওহী
নবী হলেন বার্তাবাহী
ওহী মানে রবের বাণী
সকল কিছুর স্রষ্টা যিনি
বাড়ি ফিরে ভীষণ ভয়ে
চাদর জড়ায় আপন পায়ে
ভাবেন বুঝি শেষের কালে
লোকে আমায় পাগল
আওয়াজ শুনি গায়েব থেকে
চোখে যেনো দেখি কাকে
অভয় দিলেন মা খাদেজা
সবাই কি আর পায় সাজা
নেক লোকই আপনি ভবে
দান-ধ্যানই করেন সবে
মহান রবের দয়া অতি
এমন লোকের হয় না ক্ষতি
মা খাদেজা ব্যাপার দেখে
বলেন গিয়ে ওরাকাকে
খৃষ্টান এক পাদ্রী তিনি
কিতাব পড়েন আসমানী
বলেন এ তো বার্তাবাহী
নবী তিনি এটাই সহী
মক্কাবাসী তোমায় যবে
মক্কা থেকে বিদায় দেবে
আমার যদি জীবন থাকে
পক্ষ নেবো তোমার দিকে
বলেন নবী আমায় তবে
বিদায় দেবে তারা সবে
বলল এটাই সত্যি বটে
সকল নবীর এমন ঘটে
পরবতী কবিতার রেসালাতের ভারার্পন কবিতাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন….