কোরআন-হাদীসের উপর ব্যাপক পড়াশুনা – কোরআন হাদীস সঠিকভাবে বুঝতে হলে যেসব যোগ্যতা অর্জন করা পূর্বশর্ত – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর

কোরআন-হাদীসের উপর ব্যাপক পড়াশুনা – কোরআন হাদীস সঠিকভাবে বুঝতে হলে যেসব যোগ্যতা অর্জন করা পূর্বশর্ত – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর

আমরা পূর্বে দেখেছি কোরআনের কোনো একটি আয়াত অন্য একটি আয়াতের মাধ্যমে মানসুখ হয়ে যায়। একইভাবে কোনো একটি বিধান হয়তো একটি আয়াতে সংক্ষিপ্তভাবে বলা হয় কিন্তু অন্য স্থানে তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়। এক স্থানে আল্লাহ বলেন,

আপনি বলুন শাফায়াত কেবল আল্লাহর জন্য (সূরা ঝুমার-৪৪)

অন্য আয়াতে বলেন, সেদিন কারো শাফায়াত কোনো কাজে আসবে না তবে যাকে আল্লাহ অনুমতি দেবেন এবং তার কথা পছন্দ করবেন সে ছাড়া। (সূরা তাহা-১০৯)

যদি কেউ শুধু প্রথম আয়াতটি সম্পর্কে জ্ঞাত থাকে আর পরেরটি সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে তবে নবী-রসুল, শহীদ-সালেহ কাউকেই কিয়ামতের দিন শাফায়াত করার অধিকার দেওয়া হবে না এমন বলে বসতে পারে। অনেকে এমন বলেছেন। কিন্তু অন্যান্য আয়াত ও হাদীস পাঠ করলে সে জানতে পারবে এই মত সঠিক নয়। একইভাবে প্রায় প্রতিটি বিষয়েই অল্প পড়াশুনা করে মতামত ব্যাক্ত করলে তা মারাত্মক বিভ্রান্তি ও ফিতনার কারণ হবে। এমন হতে পারে যে সে কোনো মানসুখ আয়াতের উপর নির্ভর করে এমন একটি ফতওয়া দেবে সমস্ত উম্মাত যার বিরুদ্ধে। এভাবে কোরআন ও হাদীসের উপর একপেশে অধ্যায়নের ফলে হাকীকত – মাযাজ বা আম – খাছ ইত্যাদি নিয়মাবলীতে গন্ডোগল হয়ে যাওয়া পুরোপুরি নিশ্চিত। সুতরাং কোরআন ও হাদীসের প্রশস্ত উদ্যানে যে যত বেশি বিচরণ করবে কোরআন হাদীসের ব্যাপারে তার মতামত ততবেশি সঠিক হবে।

ইমাম বাগাবী বলেন, কোরআনের একটি অংশ অন্যটির ব্যাখ্যা করে এমন হতে পারে যে কোনো বিষয় একটি আয়াতে সংক্ষিপ্তভাবে বলা হয়েছে অন্য আয়াতে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা বর্ণনা করা হয়েছে। একইভাবে কোনো একটি আয়াতের আম বিধান অন্য কোনো আয়াত দ্বারা খাছ হয়ে যেতে পারে। (তাফসীরে বাগাবী) কাছাকাছি কথা তাফসীরে ইবনে কাছীর ও তাফসীরে কুরতুবীতে উল্লেখ আছে।

কোরআন-হাদীসের উপর ব্যাপক পড়াশুনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *