উত্তম অর্থে অনুত্তোম শব্দ – রুপকভাবে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে উত্তম অর্থে অনুত্তোম শব্দ প্রয়োগ করা

রুপকভাবে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে উত্তম অর্থে অনুত্তোম শব্দ প্রয়োগ করা শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির এর গবেষণা মুলক গ্রন্থ বিস্তারিত পড়ুন এবং আপনার বন্ধুদের নিকট শেয়ার করুন।

কিছু নির্বোধ লোক আছে যারা আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে আলোচনার মাঝে আল্লাহ্, রসুল ও দ্বীন সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াবলীর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অসঙ্গত ও অরুচিকর উপমা ও উদাহরণ পেশ করে থাকে। ঐসব উদাহরণের মাধ্যমে তারা যা উদ্দেশ্য করে তা সঠিক হলেও আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে ঐ প্রকার উদাহরণ পেশ করা স্পষ্ট বেয়াদবী ও আল্লাহর দ্বীনকে অবমাননা করা বলেই গণ্য। তাসাউফ পন্থী আবেদ ও আলেমরা (আল্লাহ্ তাদের সংশোধন করুন) এ বিষয়ে সর্বাধিক বেশি স্পর্ধা প্রদর্শন করে থাকে। তারা আল্লাহ্র সাথে বান্দার সম্পর্ককে বোঝানোর জন্য প্রায়ই প্রেমিক প্রেমিকার উদাহরণ উপস্থাপন করে থাকে। তারা এসব বিষয়ে অনেক ভয়ংকর কথা-বার্তাও বলে থাকে। একটি কাহিনী প্রচলিত আছে যে, একবার হাসান বছরী রাবেয়া বছরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাবেয়া বছরী বলেন, আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে আমি আল্লাহর সাথে বিবাহ করেছি (নাউযু বিল্লাহ্)

কাহিনীটি শোনানোর পর বক্তা বলেন, এখানে আসলে বিয়ের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকার কথা বোঝানো হচ্ছে। এ কাহিনীতে বিয়ে শব্দটিকে যত সুন্দর ও উত্তম অর্থে প্রয়োগ করা হোক না কেনো, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শানে এমন উদাহরণ উল্লেখ করা স্পষ্ট বেয়াদবী ও অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,

সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ আল্লাহর জন্য। (নাহল-৬০)

অন্য আয়াতে তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহর জন্য (অসঙ্গত) উদাহরণ পেশ করো না। (সুরা নাহল-৭৪)

মোল্লাহ্ আলী ক্বারী রঃ ফিকহে আকবারের ব্যাখ্যায় এ বিষয়ক কিছু উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। যেমন যদি কেউ বলে, আমি সূরা ইখলাসের চামড়া ছিলে তাই শুনবো (অর্থাৎ সেটা ভালভাবে মুখস্ত করবো অথবা বলে তুমি তো সূরা কাউসারের লেজ ধরে পড়ে রয়েছো (অর্থাৎ সারাদিন কেবল সূরা কাউছার তেলাওয়াত করো) তবে সে কাফির হবে।

চিন্তা করলে দেখা যাবে, অজ্ঞ ও মুর্খ লোকেরা এমন বহু কথা বলে থাকে। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ আল্লাহর কিতাব ও তার দ্বীনের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যাপারে কিরুপ মন্তব্য করা উচিৎ তা জনে না। তারা অনেক সময় উত্তম কথা বলার নিয়তেও খারাপ শব্দ প্রয়োগ করে থাকে। অজ্ঞতা বা নির্বুদ্ধিতার কারণে তাদের হয়তো কাফির বলা হবে না তবে এসব কথা-বার্তা হতে মুসলিমদের ভীষণভাবে সতর্ক করতে হবে।

রুপকভাবে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে উত্তম অর্থে অনুত্তোম শব্দ প্রয়োগ করা শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির এর গবেষণা মুলক গ্রন্থ বিস্তারিত পড়ুন এবং আপনার বন্ধুদের নিকট শেয়ার করতে ভুলবেন না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *