ইসলামে রাজনীতি – পিডিএফ -শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির
ইসলামে রাজনীতি পিডিএফ লেকচার ধারাবিহিক পর্বের প্রথম পর্বের পিডিএফ প্রকাশ করেছেন “মুহাম্মদ”
রাজনীতির আরবি শব্দ হচ্ছে সিয়াসাত। রাজনীতির সংজ্ঞায় বাংলাং বলা যায় ‘রাজ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থাবলি’। এক কথায় বলা যায় একটা দেশের রাজা কে হবে, কে হওয়ার অধিক যোগ্য, রাজার কার্যাবলী কি ও কেমন হবে, রাজা প্রজাদেরকে কিভাবে শাসন করবে, আইন-কানুন কি হবে, প্রজারা রাজাকে কিভাবে মানবে, কতটুকু মানতে বাধ্য, কখন বিদ্রোহ করতে পারবে, তার প্রতিবাদ করতে পারবে কিনা ইত্যাদি এক কথায় রাজা এবং রাজ্য সংক্রান্ত নীতিকেই বলা হয় রাজনীতি। এসমস্ত কার্যাবলী সামলাতে গিয়ে যেহেতু অনেক বুদ্ধিমত্তা ও কুটকৌশল প্রয়োগ করতে হয় তাই মানুষের কাছে এই কুটকৌশলের নামই হয়ে গেছে রাজনীতি। কিন্তু আসলে রাজনীতি হচ্ছে রাজা এবং রাজ্য সংক্রান্ত নীতিমালার সমষ্টি।
কে রাজা হবে, কতক্ষণ থাকবে, কখন তাকে সরানো যাবে, কখন তাকে মানতে হবে, রাজা কোন আইন দিয়ে দেশ চালাবে সে কি মানতে বাধ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়গুলোকে রাজনীতি বলা হয়।
আমরা আগেও বলেছি যে সবকিছুর একটা দর্শন থাকে। যেমন একটা দর্শন হচ্ছে পুঁজিবাদ। যতভাবে যত খুশি অর্থ উপার্জন করার দর্শন এই পুঁজিবাদ। অপরদিকে সমাজতন্ত্রের অর্থনৈতিক দর্শন হচ্ছে সবাই সমান সমান থাকবে। অর্থাৎ সম্পদ সমানভাবে বন্টন করতে হবে। আর ইসলামের দর্শন হচ্ছে যে, ইসলাম স্বাধীনতা দেয় পাশাপাশি স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ইসলাম অনেক কিছুর উপরই নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেমন সুদ, একচেটিয়া সিন্ডিকেট, মজুদদারী ইত্যাদি।
যদি কেউ বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক দর্শনের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় তাকে ইসলামের অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে হবে।
রাজনীতিরও নানারকম দর্শন রয়েছে। বর্তমানে রাজনীতির সবচেয়ে প্রচলিত দর্শন হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র বলছে একজন রাজা বা প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বছর সুযোগ দেওয়া হবে দেশ চালানোর। পাঁচ বছর পর আবার ভোট হবে। জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে, এটা গণতন্ত্রের দর্শন। একটা সময় ‘রাজার ছেলে রাজা হবে’ এই দর্শন প্রচলিত ছিল। ভুল ঠিক পরের কথা। তবে এদুটোই রাজনীতির দুইটা দর্শন। তখনকার সময় ওটাই চলনে ছিল। আর এখন চলনে রয়েছে এই গণতন্ত্র।
সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়তে এখনে ক্লিক করে অথবা নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ ডাউনলোড করান…
আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন…
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন…