সরাসরি কোরআন হাদীস বুঝার অসুবিধা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মূনীর

সরাসরি কোরআন হাদীস বুঝার অসুবিধা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মূনীর

সরাসরি কোরআন হাদীস বুঝার অসুবিধা বা সরাসরি কোরআন হাদীস বুঝতে গেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মূনীর এর মাজহাব বনাম আহলে হাদীস গ্রহন্থ হতে হুবহু সংকলন করা হয়েছে।

প্রথমেই আমরা কোরআন থেকে এরুপ পাঁচটি উদাহরণ পেশ করবো,

১। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। (সূরা নিসা-৯৩)

এই আয়াতে স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে, যে কেউ কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে তার শাস্তি চিরস্থায়ী জাহান্নাম। কিন্তু এ বিষয়ের উপর উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, যদি কোনো মুসলিম অন্য কোনো মুসলিমকে হত্যা করে তবে হত্যার কারণে সে চিরকাল জাহান্নামী হবে না। কেবলমাত্র খারেজীরা কেউ কোনো মুমিনকে বিনা কারণে হত্যা করলে বা অন্য কোনো কবীরা গোনা করলে তাকে কাফির বলে এবং সে চিরস্থায়ী জাহান্নামবাসী হবে বলে মনে করে। তারা এই আয়াতটির প্রকাশ্য অর্থ হতে দলীল পেশ করে।

২। জান্নাতীদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

আর যারা সৌভাগ্যবান তারা থাকবে জান্নাতে, সেখানে চিরদিন থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রভূ অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা। তোমার রবের পক্ষ হতে এটা নিরবিচ্ছিন্ন দান। (সূরা হুদ- ১০৮)

এই আয়াতের প্রকাশ্য অর্থে অনেকের ধারণা হবে যারা জান্নাতী হবে তাদের একদিন জান্নাত হতে বের করে দেওয়া হবে কেননা এখানে বলা হচ্ছে যতদিন আকাশ ও পৃথিবী টিকে থাকে পরে আবার বলা হচ্ছে আপনার প্রভূ যদি ভিন্ন কিছু চান তবে সেটা সতন্ত্র। বর্তমান মুসলিম চিন্তাবিদদের কেউ কেউ এমন বিভ্রান্তিকর কথা বলতে শুরু করেছেন কিন্তু উম্মতের ইজমা সম্পাদিত হয়েছে যে জান্নাতে একবার যে প্রবেশ করবে তাকে কখনও সেখান থেকে বের করে দেওয়া হবে না। জান্নাতের জীবন কখনও শেষ হবে না।

৩। উহুদ যুদ্ধে পরাজয় বরণ করার পর সাহাবায়ে কিরাম রাঃ যখন হতদম্য হয়ে পড়লেন তখন তাদের শান্তনা দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

আর এ দিনগুলোকে (যুদ্ধের দিনগুলোকে) আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। (অর্থাৎ একেক বার একেক দল বিজয়ী হয়)। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। (সুরা আলে ইমরান-১৪০)

এভাবে কোরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ বলেছেন, যেনো আল্লাহ জেনে নিতে পারেন কে তাকে ভয় করে। (সূরা মায়েদা-৯৪)

যেনো আল্লাহ জেনে নিতে পারেন কে তাকে ও তার রসুলকে সাহায্য করে। (সূরা হাদীদ-১২৫)

এই সকল আয়াত থেকে একদল লোক মনে করেছিল যা কিছু ঘটে তা ঘটার পরই আল্লাহ জানতে পারেন তার আগে নয় (নাউযু বিল্লাহ)। সাহাবাদের যুগেই এই দলটির আবির্ভাব ঘটে তাদের বলা হতো কদরিয়্যা। তারা বলতো, পূর্ব হতে কিছুই লেখা নেই যা ঘটছে হঠাৎই ঘটেছে। (সহীহু মুসলিম)

আয়াতগুলোর প্রকাশ্য অর্থ থেকে এমনটিই মনে হয় কিন্তু মুফাসসির গণ এর অর্থে বলেছেন “যেনো আল্লাহ জেনে নেন”। কোনোরুপ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়াই সরাসরি আয়াতগুলোর উপর আমল করলে কাদরিয়াদের ভ্রান্ত আকীদা সত্য প্রমাণিত হয়।

৪। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তার সাথে শরীক করার পাপ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য যে কোনো পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। (সূরা নিসা-৪৮)

এই আয়াতের প্রকাশ্য অর্থ অনুযায়ী কেউ কেউ মনে করতে পারে আল্লাহ শিরক ছাড়া অন্য যে কোনো পাপ ক্ষমা করবেন তাহলে তিনি কুফরীর পাপ ক্ষমা করবেন। এ হিসাবে কাদিয়ানীরা বা অন্যান্য কাফিররা কিয়ামতের দিন ক্ষমা পেতে পারে। বর্তমানে কেউ কেউ এমন বলতে শুরু করেছে। বলা বাহুল্য যে, সঠিক ইসলামী দৃষ্টিকোন হতে এ ধরনের কথা সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য।

৫। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা তোমার নিকট প্রশ্ন করে তুমি বলো আল্লাহ তোমাদের কালালা সম্পর্কে সঠিক বিধান বলে দেবেন যদি কোনো ব্যক্তি মারা যায় এবং তার কোনো সন্তান না থাকে এবং তার একটি বোন থাকে তবে তার বোন পাবে তার সম্পত্তির অর্ধেক। (সূরা নিসা-১৭৬)

যে কোনো পাঠক কোরআনের এই আয়াতটি পড়ে মনে করবেন, যে মারা যায় যদি তার সন্তান না থাকে এবং তার একজন বোন থাকে তবে তার বোন তার সম্পত্তির অর্ধেক পাবে তার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে আর যে কেউই থাক বা না থাক। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার হলো সাহাবায়ে কিরাম ও তৎপরবর্তী আইম্মায়ে মুজতাহিদীন এখানে সন্তানের সাথে পিতা না থাকা শর্ত করেছেন। কেবল মাত্র শিয়ারা বলেছে পিতা জীবিত থাকলেও বোনকে অংশ দিতে হবে। তারা দলীল হিসাবে এই আয়াত পেশ করেছে। কোনোরুপ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়া এই আয়াতটির উপর সরাসরি আমল করলে শীয়াদের মতই সঠিক বলে মনে হয়। আর সাহাবায়ে কিরাম ও তৎপরবর্তী ওলামাদের দ্বীনের মত কোরানের বিপরীত মনে হয়।

এমন আরো অনেক আয়াত পেশ করা যায় কিন্তু স্থান সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে এবং বুদ্ধিমানের জন্য অল্প কথা যথেষ্ট হবে মনে করে আমরা তা হতে বিরত হচ্ছি। এখন আমরা এ বিষয়ে হাদীস হতে পাঁচটি উদাহরণ পেশ করবো।

১। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন তার ভায়ের সাথে দ্বন্দে লিপ্ত হয় তখন তার চেহারার উপর যেনো আঘাত না করে কেননা আল্লাহ তায়ালা আদমকে তার নিজ রুপে সৃষ্টি করেছেন। (সহীহ মুসলিম)

হাদীসটির প্রকাশ্য অর্থ হতে অনেকে মনে করবেন আল্লাহর চেহারা মানুষের চেহারার মতো (নাউযু বিল্লাহ) এটা মুজাসসিমাদের আকীদা। যারা আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করে তাদের মুজাসসিমা বলা হয়। এটি একটি ভ্রান্ত আকীদা। এটা কুফরী পর্যন্ত পৌছায়। ইমাম নাব্বী এই হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেছেন,

হাদীসটি সিফাতের সাথে সংশ্লিষ্ট হাদীস সমূহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ এসব হাদীসের কোনোরুপ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হতে দূরে থেকেছেন। তারা বলেন আমরা বিশ্বাস করি যে এগলো সত্য এবং এগুলোর বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য নয় বরং এর এমন কোনো অর্থ রয়েছে যা আল্লাহর মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। পূর্বতর্তীদের মধ্যে অধিকাংশ আলেম এই কথাই বলেছেন। আর এটাই বেশি  নিরাপদ। আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য আল্লাহ তায়ালা এর মর্যাদার সাথে সঙ্গতি রেখে এবং সৃষ্টির সাথে তাকে তুলনা না করে এগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। (শারহে মুসলিম)

এরপর তিনি আলেমদের বিভিন্ন ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন এখানে চেহারা বলতে আদমের চেহারা বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ আদম আঃ কে আদম আঃ এর নিজ চেহারাতে সৃষ্টি করা হয়েছে। ইমাম নাব্বী বলেছেন এটা দূর্বল। কেউ বলেছেন চেহারা বলতে যাকে প্রহার করা হচ্ছে তার চেহারা বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যাকে প্রহার করা হচ্ছে তার চেহারা আঘাত না করতে বলা হচ্ছে। কেউ বলেছেন চেহারা এখানে আল্লাহর দিকেই সম্পর্কিত করা হয়েছে কিন্তু এর উদ্দেশ্য হলো শুধুমাত্র বিষয়টির গ্ররুত্ব প্রকাশ করা যেমন কা’বাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ঘর বলা হয়।

এক কথায়, ব্যাখ্যায় যায় হোক হাদীসটির বাহ্যিক অর্থ অনুযায়ী কখনই একথা বলা যাবে না যে আল্লাহ তায়ালার আদমকে স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। (নাউযু বিল্লাহ)

২। রসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, বানু ইসরাঈলে তিনজন লোক ছিলো যাদের একজন ছিলো ধবল রোগী, অন্যজন টাক শেষের জন ছিলো অন্ধ। আল্লাহর অন্তরে উদয় হলো যে তিনি তাদের পরীক্ষা করবেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি একজন ফেরেস্তাকে তাদের নিকট প্রেরণ করলেন। (সহীহ বুখারী)

হাদীসটিতে আল্লাহর অন্তরে উদয় হলো এই অংশটুকুতে বিশেষভাবে চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা আল্লাহ তায়ালা সব কিছু পূর্ব হতেই জ্ঞাত আছেন। সমস্ত সিদ্ধান্ত অনাদি অনন্ত সময় হতে তার জ্ঞানের মধ্যে বিদ্যামান রয়েছে। নতুনভাবে তিনি কোনো কিছুই চিন্তা করেন না তার অন্তরে নতুন কিছুই উদয় হয় না। যদি কেউ হাদীসটির প্রকাশ্য অর্থের উপর নির্ভর করে আল্লাহ তায়ালা নতুনভাবে চিন্তা-গবেষণা করেন এমন দাবী করে তবে এটা কুফরী আকীদা-বিশ্বাস বলে গণ্য হবে। সুতরাং হয়তো হাদীসটির ব্যাখ্যা করা হতে দূরে থাকতে হবে নতুবা এমন কোনো ব্যাখ্যা করতে হবে যা আল্লাহ তায়ালা এর মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।

৩। রসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, মানুষের মধ্যে দুটি কুফরী রয়েছে, বংশ তুলে গালী দেওয়া আর মৃতের জন্য বিলাপ করা। (সহীহ মুসলিম)

এখানে বংশ তুলে গালি দেওয়া বা মৃতের জন্য বিলাপ করাকে কুফরী বলা হয়েছে অথচ কোনো মুসলিম এসব কাজ করলে কাফির হয়ে যায় না। এরকম আরো অনেক হাদীসে অনেক কাজকে কুফরী বলা হয়েছে কিন্তু সেগুলো প্রকৃত অর্থে কুফরী নয় সেগুলোতে লিপ্ত হলে কেউ কাফির হয়ে যায় না বা ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় না। যেমন রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,

যে দাস তার মনিবের নিকট হতে পালিয়ে যায় সে ফিরে না আসা পর্যন্ত কুফরীতে লিপ্ত থাকে। (সহীহ মুসলিম)

যে কেউ জেনে বুঝে নিজের পিতা ছাড়া অন্য কাউকে পিতা বলে পরিচয় দেয় সে কাফির হয়ে যায়। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

এই ধরণের আরো হাদীসে এমন সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। খারেজীরা হাদীসগুলোকে নিজেদের মতের স্বপক্ষে ব্যাবহার করেছে। তাদের মত ছিলো যে কোনো কবীরা গোনা করলে একজন মুসলিম কাফির হয়ে যায়। কিন্তু উম্মতের ওলামায়ে কিরাম হাদীসগুলোকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে উপেক্ষা করে সরাসরি হাদীসগুলোর বাহ্যিক অর্থের উপর আমল করলে ভীষণ বিপর্যয় দেখা দেবে।

৪। রসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে কেউ জেনে শুনে তার পিতাকে ছাড়া অন্য কাউকে পিতা বলে পরিচয় দেয় তার জন্য জান্নাত হারাম। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

এই হাদীসটি আগের হাদীসগুলোর মতই কিন্তু এখানে একটু ভিন্নভাবে বলা হয়েছে। এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে তার জন্য জান্নাত হারাম। উম্মতের আলেমদের ইজমা যে এই হাদীসটির বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য নয় বরং অতিরিক্ত ভয় প্রদর্শনের জন্য এভাবে বলা হয়েছে। আলেমদের পরিভাষায় এটাকে তাগলীজ বলা হয় যার অর্থ “অতিরিক্ত কঠোরতা”।

৫। রসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে কেউ পাহাড়ে থেকে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে তাকে জাহান্নামের আগুনে রাখা হবে সেখানে পাহাড় থেকে ঝাপিয়ে পড়তে থাকবে। চিরদিন, স্থায়ীভাবে সর্ব সময়ের জন্য সে এমন করতে থাকবে। যে কেউ বিষ পান করার মাধ্যমে নিজেকে হত্যা করে সেই বিষ তার হাতেই থাকেবে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে চিরদিন, চিরস্থায়ীভাবে সর্ব সময়ের জন্য সে ঐ বিষ পান করতে থাকবে। যে লৌহ খন্ড দ্বারা নিজেকে আঘাত করে আত্মহত্যা করে, উক্ত লৌহ খন্ডটি তার হাতেই থাকবে। জাহান্নামের আগুনের মধ্যে চিরকাল, চিরস্থায়ী ভাবে অনন্ত সময় পর্যন্ত সে ওটা দ্বারা নিজেকে আঘাত করতে থাকবে। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

এই হাদীসটিতে খুবই স্পষ্টভাষায় দ্যার্থহীনভাবে বলে দেওয়া হচ্ছে যে, আত্মহত্যাকারী চিরকাল, চিরস্থায়ীভাবে অনন্ত সময় পর্যন্ত জাহান্নামের ভিতর নিজেকে আঘাত করতে থাকবে। কিন্তু আলেমদের ইজমা যে আত্মহত্যাকারী কাফির নয় এবং সে জাহান্নামে চিরকাল থাকবে না। আকীদা ও আমলের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন আরো অনেক আয়াত ও হাদীস রয়েছে সাহাবায়ে কিরাম ও অৎপরবর্তী ওলামায়ে দ্বীনের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে সেগুলোর বাহ্যিক অর্থের উপর আমল করলে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত হতে হবে। এ কারণে জ্ঞান অর্জনের সঠিক পদ্ধতি হলো, কোরান হাদীস বোঝার ক্ষেত্রে আস্থাভাজন ওলামায়ে কিরামের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী চলা।

সরাসরি কোরআন হাদীস বুঝার অসুবিধা সরাসরি কোরআন হাদীস বুঝার অসুবিধা সরাসরি কোরআন হাদীস বুঝার অসুবিধা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *