বনভোজন – ইসলামিক কবিতা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির

বনভোজন – ইসলামিক কবিতা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনির। শায়েখের সমস্ত ছাত্রদের নিয়ে চিন্তার সগরে ডাব দিয়ে শায়েখের এই অসাধান কবিতাটি পড়ুন এবং আপনিও হারিয়ে যেতে পারেন আপনার নিকটজনদের নিয়ে কল্পনায় জান্নাতে।

আমরা যারা বন্ধু হেথা দুনিয়ার জীবনে

একটা কথা স্মরণ করো চিন্তার ভুবনে।

মনে করো, আমরা সবাই, জান্নাতে আছি।

বিনোদনে ব্যস্ত থেকে সবার ভুলে গেছি।

হঠাৎ করে কারও মনে সবার স্মরণ আসে

বনভোজনে সবার ডাকে নিজের বাসার পাশে।

দা’ওয়াত পেয়ে খুশি হয়ে সবাই তখন ভাবে

বন্ধু ছেড়ে কেমন করে ছিলাম মোরা সবে।

সঠিক দিনে সবাই তারা হাওয়াই জীপে চড়ে

বনভোজনে হাজির হয় আকাশ দিয়ে উড়ে।

সময় মতো, শত শত, বন্ধুরা সব এলো

রুটির মতো, যে যার কাজে, লিপ্ত হয়ে গেলো

চাকর বাকর ছুটি দিয়ে একাই মোরা আছি

রান্নাবাড়া করবো মোরা মন করেছি আজি।

সান্টুমামার সাথে নিয়ে সাইফুল্লাহ ভায়ে

রান্না করে সোনার চুলায় সোনার খড়ি দিয়ে।

তেল লবনের পরিমানে হচ্ছে কিছু ত্রুটি

আড়াল থেকে আমার মায়ে ঠিক করছে সেটি

মারুফ সেথা দাড়িয়ে আছে বাসন কোসন নিয়ে

সব বিষয়ে একনাগাড়ে চলছে ভাষন দিয়ে।

হুছাইন ভাই বারবার যাই এটা সেটা ধুতে।

আমি ছুটি বাড়ির মাঝে হাড়ি কুড়ি নিতে।

ছাগল একটা জবাই করে হচ্ছে ঝোড়া কুটা

আজিজ ভাই আর হাসনাউলে শামলাচ্ছে সেটা।

ওয়াসিম ভাই শোনায় সবার পীর সাহেবের ওয়াজ।

রাজু তার পাশে বসে দিচ্ছে হাসির আওয়াজ।

রাজিব ভাই, কথা নাই, নিরব হয়ে বসে

মাঝে মাঝে কি যে বোঝে হালকাভাবে হাসে।

আব্দুল হাই, কোনো কাজ নাই, চুপটি করে বসে।

বই একটা রাখা আছে তার ডান পাশে।

রাজু ভাই আসলো দেখি দলবল নিয়ে

সালাম দিয়ে বসলো তারা একটু দুরে গিয়ে।

মঈনুল আর মানিক ভাইয়ে পরষ্পরে বসে

কুরার পড়ে যে যার মতো কন্ঠ আসে ভেসে।

রিয়াদ দেখি সাধ করে চা এনেছে সাথে

চা করেছে তার মায়ে জান্নাতী হাতে।

সাব্বির ভাই গম্ভীর হয়ে সবার দিকে চেয়ে

কি যেন ভাবছে মনে মাথাটাকে নুয়ে।

মুকুল ভাই আর রাসেল ভাই আমার কাছে বসে

বারে বারে প্রশ্ন করে মুচকি হাসি হেসে।

মাহদী একটা ক্যামেরা নিয়ে সেই ক্যামেরা দিয়ে

যার তার ছবি তোলে এদিক সেদিক গিয়ে।

কেউ একজন বলল হেসে এ কেমন ব্যাপার

এখানে তো কাগজ নেই নেইকো নিউজ পেপার।

তার বাবা ধমক দিয়ে বলল এটা রাখো

এতগুলো বন্ধু এলো তাদের সাথে থাকো।

মুরশিদ তো বসে আছে মাঠের এক কোণে

পাশে বসে সজল ভাই তার কথা শোনে।

আশরাফুলে গজল বলে শহীদ তার সাথে

গজল শুনে মনটা যেন ভীষন সুখে মাতে।

বাশার ভাই তাদের সাথে সুর মিলিয়ে চলে

আসরটা জমায় তারা মায়াবী এক তালে।

মিজান শেষে দৌড়ে এসে বসলো আমার পাশে

রান্না হতে কত দেরী আমার তাড়া আছে।

পরে সে সবার দিকে হাত তুলে বলে

আগামীতে আমার বাড়ি আসবে সবাই চলে।

এমনিভাবে সবার কথা স্মরন করো মনে

সবার নাম লিখতে গেলে শেষ হবে না গুনে।

আমোদ করি সবাই মিলে বনভোজনে এসে

যার যার বাড়ি ফিরি খাওয়া দাওয়া শেষে।

স্ত্রীরা সবাই বাড়ি বসে কালো মুখে

অভিমানে রাগে ফোসে মোদের সুখ দেখে।

তাদের বলি রাগো কেনো যদি মনে বলে

বনভোজন করো সবে বান্ধবীরা মিলে।

এমন যদি জীবন হয় কেমন হবে বলো

ভালো কাজ করে সবে জান্নাতে চলো।

বনভোজন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *