পরকালের পথে যাত্রা পর্ব-১৩। গুনাহগার মুসলিমদের অবস্থা। অডিও সিরিজ ডাউনলোড করুন

কিয়ামত দিবসে যে সকল গুনাহর জন্য সুনির্দিষট শাস্তির বিধান আছে তার মধ্যে এটি হচ্ছে খুব ভয়াবহ এবং খুবই বড় গুনাহ। এই গুনাহর জন্য ‘’ইবলিশ’’ আল্লাহর ভয়ানক রোষে পড়েছে এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়েছে। আর এই গুনাহটি হচ্ছে ‘’আল কিবর’’ বা অহংকার। এই গুনাহর জন্যই ইবলিশ অতি উচ্চ পর্যায় হতে একেবারে নিম্ন পর্যায়ে পর্যবসিত হয়।
ইবলিশ আল্লাহকে বলেছিল যে ‘আনা খাইরুন মিন, আমি আদম হতে শ্রেষ্ঠ, আমি আগুনের সৃষ্ট আর আদম মাটির সৃষ্ট’।
আর এই অহঙ্কারের জন্য আল্লাহর সৃষ্ট সবচেয়ে অভিশপ্ত জীবে পরিণত হয় ইবলিশ।
এই গুনাহটি এতই বিপদজনক যে রাসুল সা. বলেছেন, “কারো অন্তরে যদি তিল পরিমান অহংকারও থাকে তাহলে সে জান্নাতের সুবাস পাবে না” , অর্থাৎ কারো অন্তরে যদি বিন্দু পরিমান অহংকারও থাকে সে জান্নাতে যাওয়া তো দূরের কথা, জান্নাতের সুবাস পর্যন্ত পাবে না।
রাসুল সা. বলেছেন যে, কিয়ামতের দিন অহংকারী ব্যক্তি দেখতে মানুষের মত হলেও আকার থাকবে আদ দার বা ছোট্ট পিঁপড়ের মত ; সব দিক থেকেই তাদের অপদস্ত ও অবমাননা করা হবে। আদ দার হচ্ছে খুব ছোট প্রজাতির এক প্রকার পিঁপড়ে , আপনারা জানেন, বড় ছোট বিভিন্ন আকৃতির পিঁপড়া আছে, সাধারণ পিঁপড়াদের বলা হয় নামল, আর এই অতি ক্ষুদ্র আকৃতির পিঁপড়াকে বলা হচ্ছে আদ দার। এই পিঁপড়ের আকার নিয়ে কিয়ামতের দিন অহংকারী ব্যক্তিআল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে। এবং মানুষের পায়ের তলায় এরা পিষ্ট হয়ে যাবে। কিয়ামতের দিন মানুষ অস্থির হয়ে দিক্বিদিক শুন্য হয়ে দৌড়াবে, কোন কিছুই তার খেয়াল থাকবে না। আর এই অহংকারী ব্যক্তিরা মানুষের পায়ের নিচে পদদলিত হবে। অহংকার একটি খুব বড় গুনাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *