ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
“ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা যে পর্যন্ত না আরব উপদ্বীপ আবার গাছপালা ও নদী-নালায় পূর্ণ হবে।”
বর্তমানে আরব উপদ্বীপে কোন নদী-নালা নেই। গাছপালার সংখ্যা খুবই কম। চাষাবাদের উপযোগী ভূমির পরিমাণ অতি নগণ্য। কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে আরব উপদ্বীপের পরিবেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে এবং তা গাছপালা ও নদী-নালায় পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।
এমন দিন আসবে যখন,আরব উপদ্বীপ নদ-নদী এবং গাছপালায় পূর্ণ হয়ে যাবে। ঐ ভুমি, আদ অঞ্চল ও আরবের অন্য অংশগুলো নিয়ে গঠিত হবে।নবী (সাঃ) বলেছেন যে, আরব উপদ্বীপ এমন অবস্থায় ‘ফিরে’ যাবে।অর্থাৎ আগে কখনো তা এই অবস্থায় ছিল।এটি হাদিসের অলৌকিকতার একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ। বর্তমানে, বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানতে পারেন যে সেসময় আরবের কিছু অঞ্চলেও যেমন – ইয়েমেনের পূর্ব দিকে এবং সৌদি আরবের দক্ষিণ পশ্চিমে নিরক্ষীয় বনাঞ্চল এবং অনেক নদী এবং অববাহিকার অস্তিত্ব ছিল। এর প্রমাণ পাওয়া যায় Ice age(তুষার যুগ) এ। Ice Age (তুষার যুগ) এর শেষের দিকে, উত্তর ও দক্ষিণ মেরু তুষারাচ্ছন্ন ছিল। তাই আরব উপদ্বীপে সেসময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হত এবং সেখানে বিস্তৃত বনভূমি ছিল। ধীরে ধীরে হিমবাহ সমূহ গলে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বনাঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানও পরিবর্তন হতে থাকে। এবং ধীরে ধীরে এই অঞ্চলটি মরুভূমিতে পরিণত হয়।
কিভাবে তা সম্ভব – যে আবার,আরব উপদ্বীপ নদ-নদী এবং গাছপালায় পূর্ণ হয়ে যাবে? আল্লাহু আলাম, হয়ত কোন জলবায়ুর পরিবর্তন অথবা অন্য কোন ভাবে। এমনটা এখনও হয়নি।