পথিকৃৎদের পদচিহ্ন পথিকৃৎদের পদচিহ্ন নবীদের জীবনী প্রবন্ধটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
“অতএব, আপনি বিবৃতকরুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে।” [সুরা আল আরাফ ১৭৬] নবীদের মধ্যে আমরা যাদের নাম জানি তারা হলেম আদম, শিস, ইদরিস, নূহ, হুদ, সালেহ, ইবরাহীম, ইসমাইল, ইসহাক, লুত, ইয়াকুব, ইউসুফ, শু’আয়েব, আইয়ুব, যুল-কিফল, মুসা, হারুন, ইঊসা বিন নুন, আল ইয়াসা, ইলিয়াস, দাঊদ, সোলায়মান, ইঊনুস, জাকারিয়া, ইয়াহহিয়া, ঈসা, মুহাম্মাদ (সাঃ)। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলছেন,
“এরা এমন ছিল, যাদেরকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেছিলেন। অতএব, আপনিও তাদের পথ অনুসরণ করুন।” [সূরা আন’আম ৬:৯০]
“আমরা তোমার কাছে এই কুরআন
প্রত্যাদেশের দ্বারা তোমার নিকট শ্রেষ্ঠ কাহিনী বর্ণনা করছি। আর অবশ্যই এর
আগে তুমি তো ছিলে অনবহিতদের অন্তর্ভূক্ত।” [সুরা ইউসুফ ১২:৩]
অর্থাৎ, এই কাহিনীগুলো হল
শ্রেষ্ঠ সব কাহিনীগুলো যাতে আছে সৃষ্টিদের সেরাদের নিয়ে কথা। আর এইসব
কাহিনী নিয়েই আমাদের অডিও সিরিজ পথিকৃৎদের পদচিহ্ন: নবীদের জীবন।
পর্ব ০১ | আদম আ.
মুসলিম
উম্মাহ বর্তমানে একটি ক্রান্তি ও চ্যালেঞ্জের সময় অতিক্রম করছে। এই কঠিন
পরীক্ষায় টিকে থাকতে ও উত্তীর্ণ হবার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা
আমাদের কাছে বারবার বর্ণনা করেছেন অমূল্য কিছু কাহিনী, নবীদের জীবন ও
তাঁদের আদর্শ। কুরআনের অর্ধেকটা জুড়ে পূর্ববর্তী নবীদের কাহিনী বর্ণিত হলেও
আমরা অনেকেই বিস্তারিত
আদমকে
যখন সৃষ্টি করা হলো, আল্লাহ তাঁর পেছনে মৃদু আঘাত করলেন। ফলে আদমের
বংশধরেরা সবাই একে একে তার পেছন থেকে বেরিয়ে এলো। আমাদের জানা নেই কোন
আকৃতিতে তারা সবাই বেড়িয়ে এসেছিল, তবে তারা সবাই বেরিয়ে এসেছিল। এবং আল্লাহ
তাদের চক্ষুদ্বয়ের মাঝে একধরনের আলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বিস্তারিত
দুনিয়ার
বুকে প্রথম রাসূলের জীবনী নিয়ে অর্থাৎ নুহ. আ এর জীবনী নিয়েই আমাদের এই
পর্ব। আদম আ. এবং নুহ আ. এর সময়ের মধ্যে অনেকগুলো প্রজন্মের ব্যবধান, এর
মধ্যে বড় বড় দশটি মুসলিম প্রজন্ম ছিল। আর এইসকল প্রজন্মের থেকেই ধাপে ধাপে
কুফর, শির্কের আবির্ভাব ঘটে। ফলে মহান আল্লাহ বিপথগামীদের হেদায়েতের জন্য
নুহ আ. কে প্রেরণ করেন। বিস্তারিত
হুদ আ. এর নিরলস দাওয়াহ পাওয়ার পরও আদ জাতির লোকেরা ক্রমাগত স্পর্ধা দেখিয়েই চলল, তবু আল্লাহ তাদের তওবার সুযোগ দিলেন। খরা হল, ফসল শুকালো, কিন্তু না, তাদের হুঁশ হল না, নাফরমানীর চুড়ান্ত সীমায় তারা আরোহন করল। এরপর একদিন দিগন্তে জমা হল মেঘ, তারা ভাবলো, এই বুঝি বৃষ্টি হবে। কিন্তু না, এটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে গযব। শুরু হল প্রচণ্ড বাতাস, বিস্তারিত
আজকে
আমরা এক জাতির গল্প শুনবো, যারা ছিল আর্কিটেক্ট, স্থাপত্যবিদ। তাদের
স্থাপত্যশৈলীর কলাকৌশল আজও মানুষকে অবাক করে দেয়। তারা পাহাড়ের পাথর কেটে
বাড়ি বানাতে পারতো, এ এমন এক বাড়ি, ভূমিকম্পে যার কোন ক্ষতি হবে না, বাতাস
এর কিছুই করতে পারবে না। না হারিকেন, না টর্নেডো। তারা ভাবতো তারা নিরাপদ বিস্তারিত
আজকে
আমরা শুনব এক দুঃসাহসী যুবক এর গল্প। যিনি ১৬ বছর বয়সে তার বাবাকে সাফ সাফ
জানিয়ে দিলেন, তাদের মিথ্যা ধর্মের সাথে তিনি আর নেই। গোটা সমাজকে
চ্যালেঞ্জ করলেন, মূর্তি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে বুঝিয়ে দিলেন তাদের চেতনার
অসারতা। সমাজে সমাজে হৈ হৈ রব পড়ে গেল, কে এই যুবক? গ্রেপ্তার কর তাকে! বিস্তারিত
ইবরাহীম
আ. যখন মূর্তি ভাঙ্গলেন, তার জাতির অজ্ঞতার ঘুম ভাঙল, তারা একে অপরকে বলে
উঠল, “আরে তোমরা নিজেরাই তো বে-ইনসাফ”! কিন্তু এ উপলব্ধি ছিল শুধুই
ক্ষণিকের, তারা আবার কুতর্ক জুড়ে দিল। তারা ইবরাহীম আ. এর সাথে তর্কযুদ্ধে
হেরে গেল। কাফেররা তর্কযুদ্ধে হেরে গেলে গায়ের জোর খাটায়, যুদ্ধ করে জিততে
চায়। বিস্তারিত
খাঁ-খাঁ
মরূভূমি, উর্বরতার লেশমাত্র নেই। নেই কোনো লোকজন, নেই জীবনের কোনো চিহ্ন।
যেদিকে চোখ যায় সেদিকে ধূ-ধূ বালি আর বালি। এমনই এক জায়গায় ইবরাহীম (আ.),
তার স্ত্রী হাজেরা আর শিশু সন্তানকে ইসমাইলকে রেখে চলে যাচ্ছেন, রেখে গেলেন
অল্প কিছু খেজুর আর পানি। হাজেরা নিজের চোখকে যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন
না! বিস্তারিত
এ
বছর বাঙালীর তথাকথিত প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন শেষে রংধনুর রঙে
রঙিন হয়ে মিছিল বের করেছিল সমকামীতার মতো জঘন্য রোগে আক্রান্ত একদল অভিশপ্ত
সম্প্রদায়। হলুদ সাংবাদিকদের ভাষায়, অভিনব এই মিছিল নাকি মানুষের মাঝে বেশ
আলোড়ন তুলেছিল। ভাবছেন, নির্লজ্জতার এমন চরম বহি:প্রকাশ এর আগে বোধহয় আর
দেখা যায়নি? বিস্তারিত
“সবকিছুর
মাঝে ধর্ম টেনে আনার কী দরকার?” ধর্মকে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে
বেঁধে ফেলার এই যে নীতি তাকে বলা হয় সেকুলারিজম বা বাংলায় ইহজাগতিকতা কিংবা
ধর্মনিরপেক্ষতা। ধর্ম এবং মানুষের পাবলিক এফেয়ার্সকে পৃথক রাখার যে ধারণা,
তা নতুন কিছুই নয়। যদিও অধুনা সুশীল সমাজ দাবি করে, মানবজাতি একুশ শতকে
এসে বিরাট আত্মিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ বিস্তারিত
ইউসুফ
আ. কোনো প্রেমিক নন, তিনি একজন নবী। তিনি এমন একজন নবী যার কথা বর্ণনা
করতে গিয়ে আল্লাহ তা’আলা একটি পুরো সূরা নাযিল করেছেন একদিনে একসাথে! আমরা
কেবল ‘সফল’ মানুষদের উত্থানের গল্প শুনি, তবে ইউসুফ আ. এর জীবনে যে উত্থান
আর পতন তা যেন সকল রোমাঞ্চ আর অ্যাডভেঞ্চারকে ছাড়িয়ে গেছে। বিস্তারিত
সাদা
চোখে কারাগার মানে অন্ধকার বন্দীশালা, থমকে যাওয়া জীবন, এক বিভীষিকা।
একেকটি মুহূর্ত যেখানে একেকটি ঘন্টা। দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ আর আরাম-আয়েশ এনে
দেওয়া হলেও কোনো মানুষ কারাগারে থাকতে রাজি হবে না। অথচ এই কারাগারে
যাওয়ার জন্যই আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন যুবক ইউসুফ আ.। কেন? বিস্তারিত
কারাগার
কাউকে ভাঙ্গে, আর কাউকে বা গড়ে। যারা আল্লাহর পথে কারাবন্দী হয় তাদের
উদাহরণ হচ্ছে আলোর মত, যে আলোকে না পারে কেউ থামিয়ে দিতে, না পারে কেউ
নিভিয়ে দিতে। ফাঁক-ফোঁকড় ভেদ করে একসময় না একসময় সেই আলো উদ্ভাসিত হবেই।
ইউসুফ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কারাগারে বন্দী করেছিল এমন কিছু লোক, যারা
বাহ্যত ক্ষমতাশালী হলেও বিস্তারিত
প্রিয়তমা
স্ত্রী মারা গেছে, মারা গেছে যাবতীয় বিপদে নিরাপত্তা দানকারী স্নেহপরায়ণ
চাচা আবু তালিব। রাসূল সা. এর জীবনে এই কঠিন সময়টিকে বলা হয় ‘আমিল হুজন’ বা
দুঃখের বছর। অত্যন্ত কাছের দুই মানুষকে হারিয়ে রাসূল সা. শোকে মুহ্যমান
হয়ে পড়েন। পার করতে থাকেন অসহনীয় মুহূর্ত। এ অবস্থায় রাসূল সা. কে দৃঢ়তা
প্রদান করার জন্য মহান আল্লাহ নাযিল করেন সূরা ইউসুফ। বিস্তারিত
কুরআনে
বর্ণিত সকল নবীর মাঝে এমন একজন নবী আছেন যার দাওয়াতী কার্যক্রম ও
অনুসারীদের ব্যাপারে কুরআনে কোনো উল্লেখ নেই, তিনি হলেন হযরত আইয়্যুব আ.
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, আল্লাহর বাণী প্রচার করাই যদি নবীদের
কাজ হয় তাহলে একজন নবীর দাওয়াতী কাজের কথা উল্লেখ না করার পেছনে যুক্তি কী?
বিস্তারিত
নবীদের
মধ্যে একজন এমন জায়গায় আল্লাহর প্রতি সিজদাহ করেছিলেন যেখানে কেউ কখনো
সিজদাহ করেনি। আর সেই সিজদাহ এর পর তিনি এমন এক দু’আ করেন যা মুসলিমদের
জন্য বিপদ আর কঠিন সময়ের চিরন্তন পাথেয়। এই দু’আটির ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘এটা হলো বিপদগ্রস্তের দু’আ।’ বিস্তারিত
প্রচণ্ড
দুঃসহ এক পরিস্থিতি পার করছেন একজন মা, গত কয়েকটি মাস তিনি কোনোরকমে তার
গর্ভাবস্থার বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু কিছুদিন হল, তিনি এক পুত্র
সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি ভেবে পাচ্ছেন না, কীভাবে এই বাচ্চাকে লুকিয়ে
রাখবেন, প্রচণ্ড আতঙ্ক তাকে তটস্থ করে রেখেছে। এই বুঝি ঘরে চলে এল
সেনাবাহিনী, তাঁর বাচ্চাকে কোল থেকে নিয়ে গেল… বিস্তারিত
মূসা
আ. সেই মিশরীয়কে ইচ্ছাকৃত হত্যা করেননি, তিনি হয়তো জোরে আঘাত করেছিলেন আর
তাতে সে মারা যায় — কিন্তু এটি ছিল বেশ আলোড়ন জন্ম দেওয়ার মতো ঘটনা, বলা
যেতে পারে, ‘ব্রেকিং নিউজ!’ কারণ নিহত ব্যক্তি ছিল একজন মিশরীয় আর তাকে খুন
করেছে এক ইসরাঈলী, তাই এই বিষয়টিতে রাজনৈতিক মাত্রা যোগ হওয়ার কারণে
ব্যাপক হৈ-চৈ লেগে যায়। বিস্তারিত
মূসা
যাত্রাপথে হারিয়ে গেলেন। প্রচণ্ড শীতের রাত, কোনো আলো নেই, সাথে আছেন কেবল
তাঁর স্ত্রী। হঠাৎ মূসা আ. দূরে আলোর মত কিছু একটা দেখলেন। মূসা বললেন,
“আমি আগুন দেখেছি, তুমি এখানে অপেক্ষা করো, আমি দেখে আসি পথের সন্ধান পাই
কিনা।” সেই আশায় মূসা পথ ধরে চললেন, পৌঁছলেন একটা উপত্যকার কাছে, হঠাৎ ডান
পাশ থেকে একটি ভেসে এল একটি কণ্ঠস্বর, বিস্তারিত
মূসা
আ. দাঁড়িয়ে আছেন মিশরের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতাপশালী স্বৈরশাসক ফির‘আউনের
প্রেসিডেন্সিয়াল অফিসে। পাশে তাঁর ভাই হারূন আলাইহিসসালাম, সামনে ফির‘আউন
আর চারপাশ জুড়ে মন্ত্রীপরিষদের হর্তা-কর্তা ব্যক্তিবর্গ। মূসা নিজের জান
নিয়ে ভীত নন, তবে কিছুটা চিন্তিত বটে, তিনি ভাবছেন, যে বার্তা তিনি নিয়ে
এসেছেন, তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন তো? বিস্তারিত
উৎসবের
দিন, জাদুর মেলা বসেছে। একপাশে ফিরআউন ও তার গ্যাং, অন্য পাশে মূসা।
ফিরআউন জড়ো করেছে দেশবিখ্যাত সব জাদুকরদের। জিততে পারলে তাদের ক্যারিয়ারে
‘প্রমোশন’ হয়ে যাবে, গাড়ি-বাড়ি-প্রতিপত্তি মিলবে। অন্যপাশে দুজন — মূসা আর
তাঁর ভাই হারুন। তারা অবশ্য ক্যারিয়ার গড়তে এখানে আসেননি, তাদের লক্ষ্য
একটাই — আল্লাহ যে সত্য সহকারে বিস্তারিত
আমরা
আমাদের চারপাশে নানানরকম গল্প শুনি, ক্যারিয়ার-সাধনার গল্প, ভালবাসার
গল্প, জীবনযুদ্ধের গল্প, দেশের-জন্য-যুদ্ধের গল্প ইত্যাদি। প্রতিটি গল্পেই
আমরা দেখবো গল্পের নায়ক বা নায়িকার কোনো একটি নির্দিষ্ট cause বা লক্ষ্যের
প্রতি কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকার। আরো দেখবো, তাদের এই সাধনা দুনিয়াকে ঘিরে।
মানুষ দুনিয়ার কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কষ্ট করবে, বিস্তারিত
তারা
ভাবছিল, এই বুঝি শেষ, এই বুঝি মৃত্যু এল! আর কোনোদিকে পালাবার কোনো পথ
নেই। মূসা, হারূন ও ইউশা বিন নূন আ. সাগরের একদম সামনে চলে আসেন এবং সেখানে
দাঁড়িয়ে পড়েন। বনী ইসরাঈল অস্থির হয়ে মূসাকে বলতে লাগলো, “কী করছেন আপনি?
তারা তো শীঘ্রই আমাদের ধরে ফেলবে! বিস্তারিত
সার্কাসের
একটা হাতিকে খুব ছোটো বেলা থেকে ছোটো একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে বড় করা হয়।
বড়বেলায় এসেও সেই একই দড়ি দিয়ে হাতিকে বেঁধে রাখলেও সে পালিয়ে যায় না। সে
চাইলেই এক ঝটকায় দড়ি ছিঁড়ে ফেলতে পারে, কিন্তু সে এই বন্দীত্বকেই স্বাভাবিক
বলে মনে করে, সে বিশ্বাস করে এটাই তার নিয়তি, তার কিছুই করার নেই। বিস্তারিত
মূসা
আ. প্রথমবার আল্লাহর সাক্ষাত পেয়েছিলেন এক অন্ধকার রাতে, পবিত্র ভূমির এক
গাছ থেকে এক কণ্ঠস্বর ভেসে এসেছিল, “আমিই আল্লাহ।” এরপর ফির’আউনের সাথে
ঘাত-প্রতিঘাত, বনী-ইসরাঈলের স্থবিরতা — এমন বহু পরীক্ষা পাড়ি দিতে দিতে
আল্লাহর সাথে মূসার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয়েছে। সমুদ্র দ্বিভাগ হবার সময়
আল্লাহর সাহায্য ছিল প্রত্যক্ষ। বিস্তারিত
এই পর্বের সাথে শেষ হচ্ছে মূসার আ.
কাহিনি। কুরআনে আর কোনো নবীকে নিয়ে এত আলোচনা করা হয় নি যতটা মূসাকে আ.
নিয়ে করা হয়েছে। তাই এই সিরিজে দশ পর্ব জুড়ে আলোচিত হয়েছে শুধু তাঁরই
কথা। তাঁর জীবনের প্রথম অংশে ফিরআউনের সাথে বোঝাপড়া, দ্বিতীয় অংশে রয়েছে
বনী ইসরাঈল জাতিকে সামাল দেওয়া, এ দুয়ের সাথে আছে আল্লাহর সাথে কথা,
আল্লাহর সাথে দেখা। বিস্তারিত
“যদি
তোমাদের মাঝে এমন কেউ থাকে যে বিয়ে করেছো কিন্তু নব-বধূর সাথে রাত কাটাও
নি এবং কাটাতে চাও, তাহলে সে আমার সাথে যুদ্ধে এসো না। আর যদি এমন কেউ থাকে
যে তার বাসা বাঁধছিলে, কিন্তু তার ছাদের কাজ বাকি আছে, তবে সেও আমার সাথে
এসো না। আর যদি তোমরা কোনো গর্ভবতী উটনি বা ছাগল ক্রয় করে থাকো এবং তার
প্রসবের জন্য অপেক্ষা করছ, তবে সেও আমার সাথে আসা থেকে বিরত থাকো।” বিস্তারিত
বিজ্ঞান
আর প্রযুক্তির কথা উঠতেই আমাদের সামনে সাদা চামড়ার বিজ্ঞানীদের চেহারা
ভেসে ওঠে — যেন বিজ্ঞান পুরোটাই পশ্চিমা সভ্যতার অবদান, সতেরশো শতকের আগে
বুঝি বিজ্ঞান বলে কিছুই ছিল না! এমনটা ভাবার অবকাশ নেই বিজ্ঞানের জন্ম
ইউরোপের কোলে, দু’শ বছর আগে, না, বরং এর আগের শত শত বছরের মুসলিম ও অমুসলিম
বিজ্ঞানীদের গবেষণার উপরই দাঁড়িয়ে আছে আজকের আধুনিক বিজ্ঞান। বিস্তারিত
একটি
শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বিলকিস, প্রকাণ্ড এক
সিংহাসনে বসে আছেন। একটা চিঠি আসলো, মোহরাঙ্কিত একটি চিঠি। চিঠিটি হাতে
নিয়েই তিনি বুঝলেন, এটা যার-তার চিঠি নয়, এটা এসেছে একজন সম্মানিত এবং
অভিজাত মানুষের কাছ থেকে। চিঠিতে লেখা, “এই চিঠি সুলাইমানের পক্ষ থেকে —
অসীম দাতা, পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে শুরু। অহংকারের বশে অবাধ্যতা কোরো না,
আমার বশ্যতা স্বীকার করে নাও।” বিস্তারিত
বিচ্ছেদ!
কথাটা শুনলেই আমাদের বুকের ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা ঠেকবে এটাই স্বাভাবিক ছিল।
কিন্তু তা না হয়েই আমরা প্রায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি “সমস্যা কার, স্বামী নাকি
স্ত্রী…” – এই উত্তরের খোঁজে। অথচ ভেঙে যাওয়া এমন অজস্র কাহিনির পেছনে যে
এগুলো ছাড়াও অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে তা আমাদের চিন্তার আড়ালেই থেকে যায়।
এই কারণটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে কুরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, জাদুর
কারণে স্বামী-স্ত্রীয়ের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিস্তারিত
সন্তানদের
ঘিরে বাবা-মায়ের কতো স্বপ্ন! আজকের সমাজের বাবা-মায়েরা সন্তানদের নিয়ে
স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন হয় দুনিয়া-ঘেঁষা, দুনিয়া-ঘেরা। ভালো
লেখাপড়া, ক্যারিয়ার, খ্যাতি, সাফল্য — এই বৃত্তের বাইরে তারা ভাবতে পারেন
না। সন্তান নিয়ে স্বপ্ন তো ইমরানের আ. স্ত্রীও দেখেছিলেন, অথচ কী বিশাল সে
স্বপ্ন! অসীম তার পরিধি! দুনিয়া নয় বিস্তারিত
তিনি
আল্লাহর পছন্দ করে নেওয়া একজন বান্দী। তাঁর পরিবারকে সবাই এক নামে চেনে।
যেদিন তাঁর জন্ম জন্ম হয়েছিল সেদিন তাঁকে নিয়ে সবার সে কী কাড়াকাড়ি!
অথচ আজকে পরিস্থিতি ভিন্ন। মাসখানেক আগে তাঁর জীবনে অদ্ভূত একটা ঘটনা ঘটে
গেছে। না পারছেন কাউকে বলতে, না পারছেন সইতে। কেবলই মনে হচ্ছে, ইশ! যদি
মরেই যেতাম, কতোই না ভালো হতো! বিস্তারিত
পথিকৃৎদের
পদচিহ্নঃ নবীদের জীবন লেকচার সিরিজের এই পর্যন্ত আমরা যতো নবীদের নিয়ে
আলোচনা করেছি, তাদের নবী হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপারে মুসলিম, খ্রিস্টান এবং
ইহুদিদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। তবে আজকে যে নবীকে নিয়ে আমরা আলোচনা করবো
তিনি হচ্ছেন সেই নবী — যাকে ঘিরে পৃথিবীর এই তিনটি ধর্মের পার্থক্যের সূচনা
— তিনি হচ্ছে ঈসা আ. বিস্তারিত