জাহালাত বা অজ্ঞতা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
জাহালাত বা অজ্ঞতা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর এর তাওহীদ আর রহমান নামক গ্রন্থ থেকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে প্রবন্ধটি পড়ুন এবং শেয়ার করুন
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “আমি রসুল প্রেরণ করার আগে কাউকে শাস্তি প্রদান করি না।” (সুরা ইসরা-১৫) অর্থাৎ রসুল প্রেরণ করে সত্য সম্পর্কে অবহিত করার পূর্বে কাউকে শাস্তি দেওয়া হয় না। যার নিকট যে বিষয়ের জ্ঞান পৌছায়নি তাকে সে বিষয়ে অপরাধী করা হবে না। “আল্লাহ একজন মানুষের সাধ্যের বাইরে কিছুই তার উপর চাপিয়ে দেবেন না।”
অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, আপনি বলুন, আমার উপর এই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যাতে আমি ভয়প্রদর্শন করি তোমাদের (আমার সমসাময়িক লোকদের) এবং কিয়ামত পর্যন্ত যে কারো নিকট এ কুরআনের আহ্বান পৌছাবে তাদের। (সুরা আনয়াম-১৯)
এই আয়াতে একদিকে যেমন প্রমাণ করে কিয়ামত পর্যন্ত যে কারো নিকট কুরআনের আহ্বান পৌছাবে তার উপর ঈমান আনা ওয়াজিব হবে বিপরীত দিকে এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, যার নিকট এ আহ্বান পৌছাবে না তাকে পাকড়াও করা হবে না। (বায়দাবী)
অন্য একটি হাদীসে অনুরুপ কথা বলা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,
যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ সেই সত্ত্বার কসম এই উম্মতের যে কেউ-সে ইয়াহুদী বা খৃষ্টান যাই হোক আমার কথা শোনার পরও আমি যা নিয়ে এসেছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন না করেই মৃত্যুবরণ করে সে জাহান্নামী হবে। (মুসলিম)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নাব্বী রঃ বলেন, এই হাদীস হতে বোঝা যায় যার নিকট ইসলামের দা’ওয়াত পৌছায় নি সে ওযরপ্রাপ্ত। এটা পূর্বে বর্ণিত মুলনীতির উপর নির্ভর করে যে, শরীয়ত আসার পূর্বে কোনো বিধি-বিধান প্রযোজ্য হয় না। এটিই অধিক সঠিক মত আর আল্লাহই ভাল জানেন। (শারহে মুসলিম)
এই সকল দলীল-প্রমাণের কারণে সাধারনভাবে বেশিরভাগ আলেম অজ্ঞতাকে ওযর হিসেবে গণ্য করেছেন। তবে বিষয়টির কিছু নির্দিষ্ট নিয়মনীতি ও সীমা-রেখা রয়েছে। উক্ত সীমারেখার বাইরে অজ্ঞতা ওযর হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তী পোষ্টের আলোচনাতে আমরা অজ্ঞতাকে ওযর হিসেবে গণ্য করার মূলনীতিসমূহ তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ্।
জাহালাত বা অজ্ঞতা – শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর এর তাওহীদ আর রহমান নামক গ্রন্থ থেকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে এই প্রবন্ধ সহ সব প্রবন্ধ গবেষণা মূলক প্রবন্ধ