অনৈসলামীক পোষাক পরিধানের বিধান বা কাজ-কর্ম ও বেশ-ভূষার মাধ্যমে নিজেকে কুফরী পরিচয় দেওয়া

অনৈসলামীক পোষাক পরিধানের বিধান বা কাজ-কর্ম ও বেশ-ভূষার মাধ্যমে নিজেকে কুফরী পরিচয় দেওয়া #শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর# এর গবেষণা মূলক প্রবন্ধটি পড়ুন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।

যদি কেউ কাফিরদের সাথে মিশে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে বা তাদের মতো পোশাক পরিধান করে কাফির সাজে তবে সে কাফির হবে তার অন্তরের বিশ্বাস যাই হোক না কেন।

কাজি ইয়াদ রঃ বলেন, আমরা এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে কাফির বলব যে এমন কাজ করে যে কাজের ব্যাপারে উম্মতের ইজমা যে, তা কেবলমাত্র কাফিরের মাধ্যমেই হতে পারে। যদিও উক্ত কাজ করার পরও প্রকাশ্যে ইসলাম পালন করে। যেমন: মূর্তি, চন্দ্র, সূর্য, আগুন ক্রুশ ইত্যাদিকে সাজদা করা, ইয়াহুদী বা খৃষ্টানদের সাথে তাদের উপাসনালয়ে গমন করা তাদের পোশাক পরিধান করা, খৃষ্টানদের ফিতা গলায় পরা এবং তাদের অনুসরণে মাথার চুল পাখির বাসার মতো জড়ানো ইত্যাদি। কেননা মুসলিমরা ইজমা করেছেন যে, এসব কাজ কেবল একজন কাফিরই করতে পারে এবং এসব কাজ কুফরীর আলামত যদিও এসব কাজে লিপ্ত ব্যক্তি প্রকাশ্যে ইসলাম অনুসরণ করে। (আশ শিফা)

কিভাবে একজন মুসলিম কাফির হয় সে অধ্যায়ে ফতওয়ায়ে আলমগীরীতে বলা হয়েছে

এবং (কোন মুসলিম কাফির হবে) যদি সে মাজুসীদের ধর্মীয় উৎসবের দিন তাদের সাথে গমন করে এবং তারা যা করে তা করে।

বর্তমানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে “যেমন খুশি তেমন সাজো” উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

যেসব সাজ-সজ্জার মধ্যে অনেক ছেলে-মেয়েকে ধুতি-পৈতা বা শাখা-সিঁদুর পরিধান করে হিন্দু সাজতে দেখা যায়। এটা কুফরী হবে। যারা এসব কাজে উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগায় বা এসব কার্য-কলাপের তত্ত্বাবধায়নে থাকে তারাও কাফির হবে। (একাজ স্পষ্ট কুফরী তবে এসব ব্যক্তিরা অজ্ঞতার কারণে ছাড় পেতে পারে। এ বিষয়ে এই গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে) একইভাবে খৃষ্টানদের বড়দিন অনেক মুসলিম খৃষ্টানদের সাজে সজ্জিত হয়ে তাদের সাথে উৎসবে মেতে ওঠে। এটাও কুফরী হিসেবে গণ্য হবে।

অনৈসলামীক পোষাক পরিধানের বিধান বা কাজ-কর্ম ও বেশ-ভূষার মাধ্যমে নিজেকে কুফরী পরিচয় দেওয়া #শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর# এর গবেষণা মূলক প্রবন্ধটি পড়া শেষ হলে শেয়ার করতে ভূলবেন না। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *