৭ শ্রেণির মানুষ আল্লাহর আরশের ছায়াতলে স্থান পাবে

১. ইমানদার ন্যায় বিচারক: ন্যায় বিচারকারীকেই সেদিন আল্লাহতায়ালা হাশরের ময়দানে সূর্যের ভয়াবহ তাপ থেকে আরশের ছায়া প্রদানের মাধ্যমে প্রশান্তি দেবেন।

২. আল্লাহভীরু যুবক: যে তার যৌবনকালে প্রভুর ইবাদত করেছে। কারণ জীবনের বসন্তকালে অর্থাৎ যৌবনে অপকর্ম ত্যাগ করা বেশ কঠিন। সব অপকর্ম ত্যাগ করে আল্লাহর ইবাদতে ব্যস্ত যুবকের জন্যই হাদিসে এ সুসংবাদ দেয়া হয়েছে।

৩. মসজিদের প্রতি আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপনকারী ঈমানদার: সেই ব্যক্তি যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথে বাঁধা থাকে। অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে মসজিদে আদায় করে। এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে অন্য ওয়াক্ত আদায় করার জন্য যার হৃদয় উদগ্রীব থাকে।

৪. আল্লাহর জন্য ভালবাসাকারী ব্যক্তিগণ: যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পরস্পরকে ভালোবাসেন, সৎ কাজ করেন, একত্রিত হন, আবার তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করেন অর্থাৎ দুনিয়ার কোনো স্বার্থে তারা সম্পর্ক সৃষ্টি করে না।

৫. আল্লাহর জিকিরকারী বান্দাগণ: যারা নির্জনে আল্লাহপাকের জিকিরে ও ইবাদতে মশগুল থাকেন এবং আল্লাহর ভয়ে যাদের নয়ন অশ্রুসিক্ত হয়।

৬. সৎ চরিত্রের অধিকারীগণ: যাকে কোনো সম্ভ্রান্ত পরিবারের রূপসী রমণী কামনা-লালসা পূরণের উদ্দেশ্যে আহবান করে। কিন্তু এরূপ সুযোগ পেয়েও তিনি বলেন, আমি আল্লাহকে ভয় করি।

৭. গোপনে দানকারীগণ: যারা গোপনে সাদকা বা দান করেন। যা ডান হাতে দান করলে বাম হাত খবর রাখে না। অর্থাৎ নাম প্রচার, সম্মান, খ্যাতি বা স্বার্থের জন্যে নয় বরং আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই গোপনে অর্থ সম্পদ দান করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *